দুর্নীতি মামলা হোক, বা অন্যকোনও তদন্ত, বিভিন্ন সময়ে আদালতে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই সমস্যার সমাধানে এবার নজিরবিহীন পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অবিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বললেন, 'রাজ্যে এবার সিবিআই থানার প্রয়োজন আছে।'
আলিপুরদুয়ারে 'মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি'তে ৫০ কোটিরও বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তদন্তে শুরু করে সিআইডি। এই দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা। তবে সিআইডির তদন্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট মামলাকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই-ইডির হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। সেই আর্জির ভিত্তিতে চলতি বছর অক্টোবর মাসে সিবিআই-অডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- বড়দিনের বড় উপহার মুখ্যমন্ত্রীর, ডিএ নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার
তারপর অতিক্রান্ত প্রায় দু'মাস। আদালতের নির্দেশ তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কিন্তু, চলতি সপ্তাহে সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করে- আলিপুরদুয়ারের সমবায় দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে রাজ্য প্রশাসন সাহায্য করছে না। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট তলব করেন। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার সমবায় সমিতির দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখে ও সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনে বিচারপতি রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তোপ দাগেন রাজ্য পুলিশের ভূমিকায়।
এ দিন এই মামলাতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'রাজ্যে নিত্য নতুন দুর্নীতি সামনে আসছে। আদালতের নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ কোনওভাবে সাহায্য করছে না। মানুষের হয়রানি হচ্ছে। তারা শুধু থানা-আদালতে চক্কর কাটছে। এই কারণেই রাজ্যে অন্তত তিন থেকে চারটি সিবিআই থানা তৈরি করা প্রয়োজন।' পর্যাপ্ত ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল নিয়ে সিবিআই থানার তৈরি করার প্রয়োজন আছে।'
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে 'হাস্যকর' বলে মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘যা হয়েছে ভুলে যান’, অনুরোধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের! সমস্যার জট ছাড়ল?
আরও পড়ুন- বিরাট অনুমতি বিচারপতি মান্থার, চওড়া হাসি বাংলার ডিএ আন্দোলনকারীদের মুখে