সিবিআইয়ের আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বদলির নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। এ নিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই হাইকোর্টে পৌঁছে গেলেন মলয় ঘটক।
বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁকে জেরার নামে হেনস্থা করছে সিবিআই। নিম্ন আদালতে একটি চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুলিশ চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারে।
বিচারকের এই নির্দেশ নিয়েই বুধবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিবিআইয়ের চার সাক্ষীকে কেন জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৪ অক্টোবরের মধ্যে ওই বিচারককে বদলির নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
কেন আইনমন্ত্রীকে তলব?
বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে বুধবার বিকেল ৪টেয় জুডিশিয়াল অফিসারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জুডিশিয়াল সেক্রেটারি আদালতে জানান, বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি সংক্রান্ত ফাইলআইনমন্ত্রীর কাছে পাঠানো আছে। ২৫ অগাস্ট থেকে মন্ত্রীর কাছে সেই ফাইল রয়েছে।
এতদিনেও কেন সেই ফাইল কার্যকর হল না? তা জানতেই মন্ত্রীকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আইনমন্ত্রীকে কী বললেন বিচারপতি?
কেন বিচারকের বদলি নির্দেশ কার্যকর হয়নি? আইনমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মলয় ঘটকের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'অন্য ভাবে নেবেন না। খারাপ ভাববেন না। আপনি কোর্টে এসেছেন আমি খুব খুশি।ফাইলটা আপনার কাছে পড়ে আছে। একটু দেখুন।'
কী জবাব মলয় ঘটকের?
'হাসপাতালে ছিলাম। চার দিন হল ছাড়া পেয়েছি। ১৫ দিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন চিকিৎসক। দু'দিন সময় দিন, দ্রুত দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'
আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমে আইনমন্ত্রী বলেন, 'যা বলার আদালতে বলেছি।'
আরও পড়ুন- বাঁকুড়ার পর বনগাঁ, এবার অসীম তোপে জেরবার অস্বস্তি বিজেপির!