Advertisment

টিভি সাক্ষাৎকার দিয়ে শুনানির অধিকার হারালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কোনও টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা হলফনামা হিসাবে শুক্রবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
2 primary recruitment cases transfered from justice abhijit ganguly's bench

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

দুর্নীতি মামলা আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু সেই প্রসঙ্গেই টিভি সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে সরব হয় তৃণমূল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক নেতাদের মত আচরণ করেছেন বলে তোপ দাগেন শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এবার বিচারপতি গণমাধ্যমে মুখ খোলা নিয়ে পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। টুইট করে এই দাবি করলেন কুণাল ঘোষ।

Advertisment

টুইটে কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?

সোমবার দু'টি টুইট পোস্ট করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই তিনি লেখেন, 'বিচারপতি গাঙ্গুলি কি টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন? দিয়ে থাকলে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের মত আচরণ করেছেন। বলল সুপ্রিম কোর্ট। রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে। এর সঙ্গে আরও কড়া মন্তব্য করেছে সর্বোচ্চ আদালত। এই কথাই তো সবিনয়ে বলে আসছিলাম এতদিন।'

অন্য একটি টুইটে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে কুণাল লিখেছেন,'সুপ্রিম কোর্টের আজকের বক্তব্যের পর বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের উচিত বিচারব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে সরাসরি রাজনীতি করা। বিচার চালানোর কোনো নৈতিক অধিকার তাঁর নেই।'

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভি সাক্ষাৎকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রিপোর্ট চাইলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াউই চন্দ্রচূড়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কোনও টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন কিনা তা হলফনামা হিসাবে শুক্রবারের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে পেশ করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সরগরম বাংলা। যা নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে একটি বেসরকারি বৈদ্যুতীন সংবাদমাধ্যমকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তোলপাড় করা বক্তব্য পেশ করেছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও নানা কথা বলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে হইচই পড়ে যায়। কীভাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিভি সাক্ষাৎকার দিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। সরব হয় তৃণমূল। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, 'মহামান্য বিচারপতি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি কিন্তু তাঁর চেয়ারের অপব্যবহার করছেন। ব্যক্তিগত প্রচারের জন্য রাজনৈতিক দলের ক্যাডারে পরিণত হয়ে গিয়েছেন।'

supreme court Kunal Ghosh justice abhijit ganguly
Advertisment