প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে মঙ্গলের পর বুধবারও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ দিন সিবিআইয়ের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি৷ পাশাপাশি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির অন্তর্গত ওয়েমার শিট কেলেঙ্কারির তদন্তে এবার সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সিট সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এই রিপোর্ট জমা দেবেন সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদ।
গত বছর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করেছিল আদালত। সেই সিটের সদস্যদের কর্মদক্ষতা কতটা? তা নিয়েই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে৷ আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে রিপোর্ট জমা করতে হবে৷
এদিন এজলাসে সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'সিবিআইয়ের কাজ কি মানুষকে বোকা বানানো? একবছর হয়ে গেল, সিবিআই-কে দায়িত্ব দেওয়া হল, কিন্তু কিছুই হল না। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদে যে প্রশ্নগুলো করা উচিত, সেগুলিই করা হয়নি। কেস ডায়েরি দেখে আমি জানলাম। এটা কেন?'
আরও পড়ুন- আর্থিক অবরোধ! হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা, এরপরই আচার্য বোসের ক্ষমতা খর্বে বড় পদক্ষেপ নবান্নের
এরপরেই সিটের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির নির্দেশ মোতাবেক, আগামী ৪ অক্টোবর দুপুর দু'টোয় সিবিআইয়ের ডিরেক্টর প্রবীণকুমার সুদকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকতে হবে এজলাসে।
গত সোমবারও ভরা এজলাসে সিবিআইয়ের কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ এমনকি, ‘মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে সিবিআই আধিকারিকদের!’ এমনও কটাক্ষ করেছিলেন৷
'
সিবিাইয়ের তদন্তকারীদের সঙ্গে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের যোগসাজশ রয়েছে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তে তিতিবিরক্ত হয়ে গত সোমবার এই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কটাক্ষ করে বলেছিলেন, 'সিবিআইয়ের এই অফিসাররা লজ্জাহীন। আগে সিবিআই শুনলে লোকে ভয় পেত। এখন লোকে হাসে। জানে কিছু হবে না।' প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বিষয়টি জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।