Primary Recruitment Case: রাজ্যের মুখ্য লিগল অ্যাডভাইসার কিশোর দত্ত। তিনিই আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রেরও আইনজীবী! কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে। এরপরই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে এজি-কে (অ্যাডভোকেট জেনারেল) সরিয়ে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
বিচারপতি সিনহা এদিন এজি-র উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, 'আপনি এই মামলায় একজনের হয়ে সওয়াল করছেন। তার সঙ্গে রাজ্যের স্বার্থের সংঘাত হলে সমস্যা হবে তো। তাহলে আপনি সরকারের হয়ে এই মামলায় থাকতে পারেন না।' এরপরই বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, 'আপনি বাই ডিফল্ট বেরিয়ে যান।'
নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারী বহু প্রার্থীর বয়সসীমা ৪০ পার করে যাচ্ছে। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। যা নিয়ে এদিন উদ্বেগ ধরা পড়েছে বিচারপতির মন্তব্যে। বিচারপতি সিনহা বলেছেন, 'এই বোর্ড এডামেন্ট। তারা কিছুই পাবলিশ করবে না। এখনও তদন্ত চলছে। ৯২ সংখ্যাটা বাড়বে কিনা জানা নেই। চাকরি প্রার্থীদের একটা একটা দিন নষ্ট হচ্ছে। রাজ্যকে বলতেই হবে তারা কী চায়। ওদের অনেকের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। কবে নিয়োগ হবে?'
আরও পড়ুন- খারিজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, পর্ষদের যুক্তিতেই সম্মতি ডিভিশন বেঞ্চের
জবাবে রাজ্যের তরফে হয়ে শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পদ শূন্য না হলে কেউ নতুন করে নিয়োগ হতে পারবেন না। সুপার নিউমারিক পোস্ট ৩ হাজার করা হয়েছিল। রাজ্য কাউকে চাকরি থেকে নিজে নিয়োগ বা সরিয়ে দিতে পারে না। তাই সুপারনিউমারি পোস্ট করা হয়। যাতে কোন আইনি বাধা না থাকে। কিন্তু সেটাও মামলা হয়ে যাওয়ায় বন্ধ।' তখন বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'এত পোস্ট কেন? এর সমাধান কীভাবে সম্ভব?' মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য তখন বলেন, 'মেরিট লিস্ট অনুযায়ী চাকরি হওয়া উচিৎ। সেটাই তো প্রকাশিত হচ্ছে না। বাকিদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।' তখনই বিচারপতি বলেন, 'আর কত অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শেষ হওয়ার নয়। উভয় মিটিং করে এব্যাপারে সমাধানে আসা যায় কি না দেখুন।'
এই মামলার পরের শুনানি আগামী ৬ ফ্রেবরুয়ারি।
আরও পড়ুন- ‘সুচেতনা’ থেকে ‘সুচেতন’ হওয়ার লড়াইয়ে বড় স্বীকৃতি, মিলল সরকারি পরিচয়পত্র