চাকরি জালিয়াতির শিকড় উপড়ে ফেলতে এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও। ''অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, এবার আমিও তাঁর সঙ্গে সামিল হচ্ছি।''
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্কুলে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের একটি রিপোর্টের বিশদ বিবরণ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, ''এটা তো ভয়ঙ্কর একটি পরিসংখ্যান। একের পর এক যা বেরোচ্ছে তা তো ভয়ঙ্কর পরিসংখ্যান। এটা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র।'' রাজ্যে টাকার বিনিময়ে সরকারি স্কুলগুলিতে বহু নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া অনেকের চাকরি গিয়েছে। এছাড়া এখনও যারা বেআইনিভাবে চাকরিতে বহাল রয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরও চাকরি যাবে বলে গতকালই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘আমি থাকলে গুলি করতাম’, অভিষেকের বিরুদ্ধে আদালতে সুকান্ত
এবার টাকার বিনিময়ে চাকরি ইস্যুতে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুকেও। তিনি এদিন বলেন, ''শিক্ষক এঁরা? এঁরা সমাজ গড়বেন? এর শেষ কোথায় জানি না। তবে আগে আবর্জনা পরিষ্কার করুন। গোটা প্যানেলটাই তো খারিজ করা উচিত। দুর্নীতি করে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ফল তাদের ভুগতেই হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমিও সামিল হচ্ছি।''
আরও পড়ুন- গরু পাচার মামলা: অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গলকে জেলে জেরায় ছাড়পত্র ED-কে
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়াদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করা হবে না। বেআইনি ভাবে স্কুলে শিক্ষক এবং অ-শিক্ষক পদে কর্মরতদের উদ্দেশ্য তাঁর সাফ কথা ছিল, ''টাকা ঘুষ দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা নিজেরাই চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ইস্তফার মেয়াদ। না হলে তাঁদেরও বরখাস্ত করা হবে। এঁরা যাতে ভবিষ্যতে আর কোনও সরকারি চাকরি না পান সেই ব্যবস্থা করবে আদালত।'' বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এবার চাকরি দুর্নীতি নিয়ে আরও এক বিচারপতির কড়া অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।