রাজ্যের প্রশংসা করেও শর্তসাপেক্ষে নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ধর্নায় অনুমতি দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। অর্থাৎ, আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্নায় বসতে আর কোনও বাধা নেই বাংলার ডিএ আন্দোলনকারীদের। তবে, বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, একসঙ্গে ৩০০ জনের বেশি ওই ধর্নামঞ্চে থাকা যাবে না। জাতীয় সড়কের উপর যাতে কোনও প্রভাব না পরে সেদিকেও নজর রাখতে হবে আন্দোলনকারীদের। সম্পূর্ণ ধর্না দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে করতে হবে।
বকেয়া ডিএ-সহ একগুচ্ছ দাবিতে সরকারি কর্মীরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চ গড়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন। আদালতে মামলার পাশাপাশি শহিদ মিনারের পাদদেশে ধর্না অবস্থান চলছে আন্দোলনকারীদের। এরমধ্যেই বর্ধিত ডিএর দাবিতে আগামী ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্নায় বসতে চেয়ে প্রশানের কাছে আবেদন জানিয়েছিল যৌথমঞ্চ। কিন্তু প্রশান তা নাকচ করে দেয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথমঞ্চ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।
শুনানিতে বিচারপতি মান্থা জানতে চান, ১৪৪ ধারার মধ্যে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হলে কেন নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে নয়?
আরও পড়ুন- ‘যা হয়েছে ভুলে যান’, অনুরোধ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের! সমস্যার জট ছাড়ল?
তখন রাজ্যের আইনজীবী জানান যে, ধর্য় তেমন লাভ হয় না। পাল্টা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা মন্তব্য করেন, 'কে বলেছে হয় না? নিয়োগ নিয়ে ছেলে মেয়েরা ধর্নায় বসে আছে বলেই তো সরকারের প্রতিনিধিরা গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন।' এক্ষেত্রে রাজ্যের প্রশংসা করেছেন বিচারপতি। তারপরই ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন বাস স্ট্যান্ডে ধর্না করার অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
এ দিনের নির্দেশে সন্তুষ্ট বর্ধিত ডিএ-এর দাবিতে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথমঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। বিষয়টিকে নৈতিক জয় বলেই মনে করছে মঞ্চ। তিনি বলেছেন, 'আমাদের মুখ্যমন্ত্রী স্বৈরাচারী শাসকের উদাহরণ। সরকারি কর্মীদের হকের পাওয়া দেন না। এমনকী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এসে কথা বলারও প্রয়োজন বোধ করেননি। এখন কোর্টের নির্দেশে নবান্ন চলো হবে। বর্ধিত ডিও না পেলে লোকসভা ভোটে ফল ভুগতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।'