২০১১ সালে আপার প্রাইমারির পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন এসেছিল। দায়ী করা হয়েছিল এসএসসি-কে। ন্যায্য বিচারের দাবিতে এসএসসি-র বিরুদ্ধে মামলা করেছিল ৮৩ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষায় ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, 'আগেই দেখেছি দুর্নীতি হয়েছে, এখনও সেই ধারা বজায় রয়েছে। এসএসসি কি কোর্টের সঙ্গে খেলা করছে? নিজেরা নিয়োগ করছে কিন্তু ভুল প্রশ্ন করছে। এমনকি আদালত নির্দেশও কার্যকর করা হচ্ছে না। এটা কি পরিকল্পিত? বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে, একটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরা খেলা করেছে।'
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, 'আপনাদের সব নিয়োগে সন্দেহ রয়েছে। আদালতের নির্দেশের উপর এ ভাবে চালাকি করলে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। আপনারা কি ভেবেছেন? প্রয়োজনে সব নিয়োগ খারিজ করে দেব। '
সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নে নম্বর দেওয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এসএসসি। কারণ তাহলে সবাইকেই তা দিতে হবে, যারা যারা সে প্রশ্ন অ্যাটেন্ড করেনি, তাদেরও। ফলে বড় পরিবর্তন আসত তালিকায়। কিন্তু কোর্ট গত বছরের ২৯ জুন ৮৩ জন মামলাকারীর ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল এই নম্বর বাড়ানোর। সেটিই অগ্রাহ্য করেছে এসএসসি।
এসএসসি-র ভূমিকায় রুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে এবার এসএসসি-র চেয়ারম্যানকে তলব করলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আগামী শুক্রবার এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কেন আদালতের নম্বর দেওয়া সংক্রান্ত নির্দেশ মানা হয়নি, তা চেয়ারম্যানের থেকে জানতে চাইবে আদালত। প্রয়োজনে আদালত সমস্ত নিয়োগ খারিজ করে দিতে পারে বলেও এসএসসিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি।