অসুস্থ হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (বালু)। কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে ভর্তি মন্ত্রী। তাঁর চিকিৎসায় তৈরি করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। কিন্তু, কার্ডিওলজিতে ভর্তি থাকলেও বালুর চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন নিউরোলজিস্টরা! মেডিক্যাল বোর্ডেও ছিল না কোনও হার্ট স্পেশালিস্ট! যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাহলে কী হার্টের কোনও রোগ-ই নেই রেশন দুর্নীতিতে জেল হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? তবে কেন ধৃত মন্ত্রী কার্ডিওলজিতে চিকিৎসাধীন? এরপরই মন্ত্রীর চিকিৎসায় গঠন করা হয় নয়া মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানেই ঠাঁই হয় কার্ডিওলজিল্টের।
নয়া মেডিক্যাল বোর্ড
এসএসকেএম সূত্রে খবর, ১১ সদস্যের নয়া মেডিক্যাল বোর্ডে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছাড়াও নিউরো, মেডিসিন, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি, অর্থোপেডিক, এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রাখা হয়েছে।
কেন মন্ত্রী কার্ডিওলজি বিভাগে? এসএসকেএমের যুক্তি...
মঙ্গলবার সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সময়ের মধ্যে মন্ত্রীর শরীররে একাধিক পরীক্ষা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শুরুতেই মন্ত্রীকে দেখেন কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা। কিন্তু বালুর বুকে প্রায় কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়ে দেন হার্ট স্পেশালিস্টরা। আগেই জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন যে তাঁর বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাই কার্জডিওলজিস্টদের পরে মন্ত্রীকে দেখতে ডাক পড়ে নিউরোলজিস্টদের। এরপরই ঠিক হয় নিউরোলজি মেডিসিনের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সেই অনুসারে কার্ডিওলজি বিভাগের পাঁচ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয় রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃতকে। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দাবি, কার্জওডিলজি বিভাগ ছাড়া আর কোথাও বেড না না থাকায় আপাতত সেখানেই তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এসএসকেএমের ভূমিকায় প্রশ্ন!
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারির পরই অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল ভুবনেশ্বর এইমস-এ। এইমস-য়ের চিকিৎসকরা পার্থকে ফিট সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তারপরই ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করেছিল ইডি গোয়েন্দারা। সমালোচিত হন এসএসকেএমের চিকিৎসকরা।
বেসকরা হাসপাতাল থেকে বাইপাস সার্জারির পর অসুস্থ হয়ে নিয়োগ মামলাতেই ধৃত 'কালীঘাটের কাকু' গত প্রায় তিন মাস ধরে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে শুরু করেছে ইডি।
এবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসা নিয়েও বিরোধিরা সন্দেহ প্রকাশ করছে। প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- এসএসকেএমে ইডি-র আধিকারিকরা! ‘কাকু’, নাকি মন্ত্রী বালু- নজরে কে?