করোনার দুর্দিনে রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থায় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ঘোষণা করা 'প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা' বাংলায় কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য সচিব পারভেজ সিদ্দিকিকে চিঠি দিয়েছেন খাদ্য ও গণবন্ঠন মন্ত্রকের ক্রেতা সুরক্ষাবিভাগের যুগ্ম সচিব এস জগন্নাথন। চিঠিতে বলা হয় যে, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলা ৭৩ হাজার মেট্রিকটন চাল পেলেও তা মানুষকে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, '২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের সুবিধার কথা ঘোষণা করলেও রাজ্যকে ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রের তরফে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানানো হয়। এরপর খাদ্যশস্য দিতে দিতে শুরু করে ওরা। তার অনেক আগেই রাজ্য সরকার রেশনের মাধ্যমে মানুষের কাছে চাল, আটা পৌঁছনর কাজ চালু করে দিয়েছে। আশা করছি, ১লা মে-র মধ্যেই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন- সাড়ে সতেরো হাজার কোটি টাকা চাইলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়
লকডাউনে গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় রেশনে প্রতি মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি করে অতিরিক্ত চাল বা গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এপ্রিল থেকে শুরু করে তিন মাস দেশের ৮১ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন।
রাজ্যের খাদ্য সচিবকে দেওয়া কেন্দ্রের পাঠানো ২৩ এপ্রিলের চিঠিতে বলা হয়েছিল, 'সব রাজ্যেই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার জন্য বরাদ্দ খাদ্যশস্য বিতরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই উদ্যোগ এখনও দেখা যাচ্ছে না। খাদ্যশস্যের প্রাপ্যতা সম্পর্কে, এফসিআই জানিয়েছে যে রাজ্যের সব জেলার গুদামে ১.০২ লাখ মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। আরও ১.৪৬ লাখ মেট্রিক টন ২৫ এপ্রিলের মদ্যেই বাংলা পৌঁছে যাবে। রাজ্য ইতিমধ্যেই এফসিআই থেকে ৭৩ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য শস্য তুলেছে। কিন্তু, বন্টন করা হয়নি।'
৬.০২ কোটি মানুষের কাছে যাতে খাদ্যশস্য পৌঁছয় তা জন্য উদ্যোগ গ্রহণে করুক রাজ্য। চিঠিতে মমতা সরকারকে এই আবেদন করেছে কেন্দ্র।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন