Advertisment

ব্যাগ-চটি হাতে সেন্টারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা, মন্ত্রীর দশা আরও সঙ্গীন! কারণ জানেন?

স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অবশ্য দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই ঘটনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে তাঁদের অভিভাবকরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ। এমনকী মন্ত্রীকেও এতল্লাটে এসে বেশ বেগ পেতে হয়। গাড়ি ছেড়ে হাঁটা লাগিয়ে গন্তব্যে পৌঁছেছেন মন্ত্রী।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Jyotsna Mandi and madhyamik students faces difficulties at raina due to poor condition of road

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জোরদার চর্চা শুরু।

পথের হতশ্রী দশার কারণে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোতে নাজেহাল মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার্থীরা। কাদায় ডোবা রাস্তায় পদে-পদে হড়কে পড়ার ভয়। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি জুতো হাতে রাস্তা পার অভিভাবকদেরও। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নার (Raina) কুকুরা অনিলাবালা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরের এই ছবি সামনে আসায় জোরদার চর্চা শুরু। অন্যদিকে, রায়নারই পলাশন গ্রামে বেহাল রাস্তার জেরে গাড়ি ছেড়ে টোটোয়-হেঁটে রাজ্যের মন্ত্রী পৌঁছোলেন মাসির বাড়ি।

Advertisment

পূর্ব বর্ধমানের রায়না। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোতে পারে তা সুনিশ্চিত করতে জেরদার তৎপরতার সঙ্গে নেমেছে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন। রায়না ১ ব্লকেও এমনই তৎপরতা চোখে পড়েছে। তবে কুকুরা অনিলাবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আধ কিলোমিটার আগে থেকে রাস্তার (Road) দশা অত্যন্ত বেহাল। মূল সড়কপথের কাছের মোরাম রাস্তা পেরিয়ে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছোতে হয় কুকুরা অনিলাবালা বিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন সেই রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় গত দু’দিনের বৃষ্টিতে (Rainfall) রাস্তাটি একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে গিয়েছে। আর সেই কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়েই শুক্রবার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।

publive-image

গাড়ি ছেড়ে হাঁটছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি।

একাধিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভের সুরে জানান, কুকুরা অনিলাবালা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছোনর রাস্তা একেবারে কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে পৌঁছোতে

কালঘাম ছুটে গিয়েছে। স্থানীয় এক আশাকর্মী বলেন, “পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার রাস্তা একেবারে কাদামাখা হয়ে আছে। রাস্তায় হড়কে পড়ার আতঙ্ক রয়েছে। চটি খুলে হাতে নিতে বাধ্য হয়েছি।"

publive-image

টোটোয় চাপছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

কুকুরা অনিলাবালা বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পিন্টু মোল্লা। তাঁর সাফাই, "রাস্তার হাল ফেরাতে কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্র রাস্তার কাজ শুরু হবে।"

আরও পড়ুন- Premium: ভগৎ সিংকে নিয়ে ১৮ দিন লুকিয়েছিলেন এখানেই, সোনালী স্মৃতি আঁকড়ে বটুকেশ্বর দত্তের গ্রাম

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মতোই রাজ্যের মন্ত্রী জোস্না মাণ্ডিও (Jyotsna Mandi) বেহাল রাস্তার কারণে তাঁর মাসির বাড়ি যেতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হন। রায়না ১ ব্লকের পলাশন গ্রামে মন্ত্রী জ্যোস্না মাণ্ডির মাসির বাড়ি। সেখানকার বেহাল রাস্তার কারণে নিজের গাড়িতে চড়ে মন্ত্রী মাসির বাড়িতে পৌঁছোতে পারেননি। বাধ্য হয়েই গাড়ি ছেড়ে কিছুটা পথ টোটোয় (Toto) আবার কিছুটা পথ হেঁটে মন্ত্রী তাঁর মাসির বাড়িতে পৌঁছোন। এ নিয়ে মন্ত্রী জ্যোস্না মাণ্ডির সাফাই, “আমার বিধানসভা এলাকায় জঙ্গলমহলেও এভাবেই কিছুটা টোটোয়! আবার কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে ঘুরতে হয়।"

আরও পড়ুন- Kolkata Weather Today: শীত নিয়ে দুরন্ত আপডেট, আবারও বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?

পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান মনিকা কোনার বলেন, “আগের বোর্ড তৃণমূলের ছিল। তারা কেন রাস্তার কাজ করেনি তা জানি না। আমাদের বাম পরিচালিত বোর্ডের বয়স সবে কয়েক মাস হয়েছে। ওই এলাকা দুটোর রাস্তারই টেণ্ডার হয়ে গেছে। অসময়ের বৃষ্টির জন্য কাজ আটকে আছে। বৃষ্টি আর না হলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।"

Purba Bardhaman burdwan West Bengal
Advertisment