বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আন্দোলন ৪৯ দিনে পড়ল। অনশন চলছে ৩৫ দিন ধরে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলেছেন যে, 'কাজ করবেন রাজ্য সরকারে, আর কেন্দ্রের হারে টাকা দিতে হবে, সেটা চলতে পারে না। রাজ্য রাজ্যের পে কমিশন অনুযায়ী চলে। আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি।' অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে যে নবান্ন নারাজ তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসবের মধ্যেই এবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের নিশানায় ডিএ আন্দোলনকারীরা। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আন্দোলনকারী কর্মীরা প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে এলে তাঁদের চাপে রাখার নিদান দিলেন দলীয় কর্মীদের।
কী বলেছেন কাইজার আহমেদ?
ভাঙড়ে তৃণমূলের এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখছিলেন কাইজার আহমেদ। সেখানেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলীয় কর্মীদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। সেই সভাতেই কাইজার বলেন, 'যাঁরা বলছেন বেশি ডিএ না দিলে পঞ্চায়েতে অংশ নেবেন না, তাঁরা ভোট করাতে এলে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই। যাঁরা প্রিসাইডিং অফিসার হয়, সব কিন্তু ওই লোক, যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে ডিএ দাও, ভাতা দাও, বলছে ভোট করতে যাব না, পয়সা দিতে হবে বেশি করে, এঁরা যখন বুথে আসবে, নিজেদের লোক বলে চাটাচাটি করে নেবেন না, ভোট দিয়ে ব্যালটে ডিসটার্বড, আবার এখানে এসে ডিসটার্বড করবে, ওদের ডিসটার্বডগিরি ছাড়িয়ে দিতে হবে, আগে বুথের মধ্যে অনেককিছু কায়দা করত, সেগুলো বলে লাভ নেই, ওদের কিন্তু মুরগির মাংস খাওয়ানোর চিন্তাভাবনা করিসনি। চাপে রাখবি। যা মনে করেছে যেন তাই।'
কাইজার আহমেদের মন্তব্য প্রসঙ্গে স্টেট স্টিয়ারিং কমিটির নেতা সঙ্কেত চক্রবর্তী বলেছেন, 'ভাবতে অবাক লাগে যে এনারা আমাদের রাজনৈতিক দলের নেতা। প্রিসাইডিং অফিসার সরকারি কর্মী না হলে কে হবেন, ওনাদের মত যোগ্যতাহীন নেতারা?ভাঙড়ের নেতা কাইজার আহমেদ য়া বলেছেন সেটা ফৌজদারী অপরাধ। আমি চ্যালেঞ্জ করছি উনি বাধা দিয়ে দেখান। আমরা এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছি।'