লালমাটির জেলায় বরাবরই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত ছিলেন কাজল শেখ। একাধিকবার কাজল-গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গিয়েছে কেষ্টর সাঙ্গোপাঙ্গদের। তবে গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর থেকে বীরভূম তৃণমূলে নতুন করে যেন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন কাজল শেখ। নানুরের এই বেতাজ বাদশাকে এবার পঞ্চায়েত ভোটে টিকিটও দিয়েছে দল। জেলা পরিষদের আসন থেকে মনেনায়নপত্র জমা দিয়ে কাজল বললেন, 'অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। দলের জন্য জীবনটাও দিতে পারি।'
আসন্ন পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার বীরভূম জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে মনেনায়নপত্র জমা দিয়েছেন নানুরের প্রবল প্রতাপশালী তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি বেশ ধাক্কা খেয়েছে। অনুব্রত-হীন বীরভূমে দল পরিচালনায় খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কোর কমিটি করে দিয়েছিলেন। সেই কমিটিতেও রাখা হয়েছিল কাজল শেখকে।
আরও পড়ুন- মনোনয়নের শেষ দিনেও রক্তস্নান বাংলায়! বাম-কংগ্রেসের মিছিলে পরপর গুলি-মৃত্যু-হাহাকার!
এবার দলের টিকিটে জেলা পরিষদের প্রার্থী হয়েছেন কাজল। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কাজলের মুখে ফের কেষ্ট-প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। দল প্রয়োজন মনে করেছে বলেই আমাকে নমিনেশন দিয়েছে। দলের জন্য নিজের জীবনটাও বিসর্জন দিতে পারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কাজল শেখ সব কিছু করতে তৈরি আছে।'
আরও পড়ুন- ধোপে টিকল না রাজ্যের আর্জি, পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল!
কেষ্ট-হীন বীরভূমে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বই এবার কাজল শেখের হাত আরও মজবুত করেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। নানুরের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিতেও কাজল শেখের অনুমাগামীদেরই টিকিট দিয়েছে তৃণমূল।
কাজলের আসনে গতবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খানকে টিকিট দিয়েছিল জোড়াফুল। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কেরিমকে প্রার্থীই করল না শাসকদল। সুতরাং, দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা কাজল শেখ এবার বীরভূমের রাজনীতিতে আরও বেশি ফোরফ্রন্টে এসে গেলেন, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।