প্রবাদ আছে 'চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী।' একই রাতে তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটিয়ে এই প্রবাদকেই যেন বাস্তবে সত্য প্রমাণ করে দেখালো চোরেরা। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে।
দেবী কালির প্রতিমা এখনও বিসর্জন হয়নি। তার আগেই সোববার রাতে ভাতারের ওড়গ্রামের বড় মা কালী মন্দির, ক্ষ্যাপা মা কালী ও ছোট মা কালীর মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দেবীর পরণে থাকা সমস্ত অলঙ্কার চুরি গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দেবী কালী মাকে অলঙ্কার শূন্য অবস্থায় দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দা। এরপরই চুরির ঘটনার তদন্তে নামে ভাতার থানার পুলিশ। তবে এখনও চোরেদের খোঁজ মেলেনি।
ওড়গ্রামের রায়পাড়ায় রয়েছে পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন ক্ষ্যাপাকালী মন্দির। এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত বলেই বিশ্বাস করেন এলাকাবাসী। তাই বহু মানুষ দেবীর কাছে মানত করেন। মানত পূর্তির পর তারা সোনা ও রূপার গহনা দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করে যান। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের দেবী মায়ের শরীরে প্রায় ১০ ভরি সোনার অলঙ্কার এবং কয়েক কেজি রূপোর গহনা ছিল। শান্তি আঁকুড় নামে মন্দিরের এক সেবাইত সোমবার রাতে মন্দিরেই ঘুমচ্ছিলেন। আর সেই সময়েই চোরেরা মন্দিরে হানা দেয়। মন্দিরের পূর্ব দিকের গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেবীর শরীরে থাকা সমস্ত অলঙ্কার চুরি করো নিয়ে পালায়।
আরও পড়ুন- আজ বিকেল থেকেই বাংলার আবহাওয়ায় বড় বদল, কী পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের?
এলাকাবাসী দাবি ,ঘুমিয়ে থাকি সেবাইতের মুখে চেতনা নাশক কিছু ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই কারনে তিনি চুরির বিষয়টি টেরই পাননি। মঙ্গলবার সকালে চুরির ঘটনার কথা জানাজানি হতে মন্দিরে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়।
অভিযোগ, একই কায়দায় চোরেরা সোমবার রাতে ভাতারের ক্ষ্যাপা মা কালীর মন্দির ও ছোট মা কালীর মন্দিরেও চুরি করেছে। দেবীর রূপোর মুকুট, সোনার হার, সোনার জিভ, নথ-সহ কয়েকলক্ষ টাকার সোনা ও রূপোর গহনা নিয়ে চোরেরা চম্পট দিয়েছে। যার মূল্য বহু লক্ষাধীক টাকা বলে স্থানীয়দের দাবি। ওড়গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল বিষ্ণু জানান, বড়মার অঙ্গ থেকে প্রায় পাঁচ ভরি সোনার গহনা এবং ১০০ ভরি রূপোর গহনা চুরি গিয়েছে। বড়মার অঙ্গ থেকে সোনা ও রূপোর গহনা চুরির পাশাপাশি ছোট কালী মায়ের শরীরে থাকা অলঙ্কারও চোরেরা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে।