থিমের কালীপুজো মানেই বারাসত। কলকাতার যেমন দুর্গাপুজো, চন্দননগর-কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। তেমনই জনপ্রিয়তার নিরিখে কালীপুজো মানেই বারাসত। তার পর নৈহাটি ও মধ্যমগ্রাম তো রয়েছেই। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার এই মহকুমার কালীপুজোর ব্যাপ্তিই আলাদা। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, বারাসতে কালীপুজোর রমরমা কীভাবে হল, কীভাবে শুরু হল সেখানে দীপান্বিতার আরাধনা?
বারাসতে কালীপুজো শুরুই হয় উদ্বাস্তুদের হাত ধরে। দেশভাগের পর ছিন্নমূল মানুষ দুই পরগনার সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে চলে আসেন। তার পর সেখানেই বসবাস শুরু করেন। দীপান্বিতা কালীপুজোর আরাধনা তাঁদের হাত ধরেই।
তবে বড় করে পুজো করার পিছনে এক ব্যক্তির মস্তিষ্ক। তিনি হলেন মহাদেব সেন। পাঁচের দশকের শেষে তিনি কার্যত বড় করে পুজো করা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে তাঁর আয়োজিত পুজোর নাম ছিল শক্তির আরাধনায় রেজিমেন্ট।
আরও পড়ুন কার্তিকী অমাবস্যায় কালীপুজোর রাত আলোয় আলো, কেন এই রেওয়াজ?
ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন সেই মহাদেব সেন। বেশ প্রভাবশালী ছিলেন। তাঁকে দেখেই বাকিরাও পুজোর বিষয়ে অনুপ্রাণিত হন। তার পর রেজিমেন্টের কালীপুজো নামে-বহরে বাড়তে থাকে। আরও অনেক পুজো ময়দানে টক্কর দিতে নামে। মহাদেব সেনের পাশাপাশি কল্যাণ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তিরও বারাসতে কালীপুজো উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রয়েছে।
আরও পড়ুন সতীর বাম পায়ের গোড়ালি পড়েছিল এখানে! উগ্রতারা রূপে পূজিত হন মা বর্গভীমা
রেজিমেন্ট, কে এন সি-র মতো পুজো এখন বারাসতের হেভিওয়েট পুজো। এছাড়াও বারাসতে সবমিলিয়ে ১৫-১৬টি বড় পুজো রয়েছে। বারাসতকে এখন টেক্কা দিচ্ছে মধ্যমগ্রাম-নৈহাটিও।