Kali Puja 2021: দুর্গাপুজার পর এবার কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও মণ্ডপে নো-এন্ট্রি। বুধবার এক জনস্বার্থ মামলার রায়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্গাপুজার সময় কোভিড বিধি শিকেয় তুলে ঠাকুর দেখার প্রসঙ্গ এদিন বিরক্তি প্রকাশ করছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন অজয় দে-র করা মামলার রায়ে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এবং ডিকে ভুটিয়া জানান, ‘দুর্গাপুজার মতোই কালীপুজা, জগদ্ধাত্রী পুজা এবং কার্ত্তিক পুজায় দর্শকশূন্য থাকবে মণ্ডপ। করোনার দুটি ডোজ কিংবা মাস্ক পরা থাকলেও ঢোকা যাবে না মণ্ডপে। নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক নিয়ে করতে হবে পুজোর আয়োজন। মানতেই হবে করোনা হবে।‘
বুধবার রায় ঘোষণার সময় ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘দুর্গাপুজা, জালিকাট্টু, শবরীমালার মতো উৎসবে জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এবার বুর্জ খলিফা দেখার জমায়েত আমাদের তিন সহকর্মীর গাড়ি আটকে ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে দেশপ্রিয় পার্কের পুজোয় একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তারপরেই আসন্ন পুজোগুলোতে বিধি আরও কড়া করে দর্শকশূন্য মণ্ডপের পক্ষেই রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে দুর্গাপুজার ভিড় নিয়ন্ত্রণে একইভাবে দর্শকশূন্য মণ্ডপের পক্ষে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই বিধি কিছুটা শিথিল করে ডবল ডোজ টিকা প্রাপকদের মণ্ডপে ঢুকতে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। অবশ্যই সিঁদুর খেলা এবং অঞ্জলির জন্য এই শর্ত দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি পুজো আয়োজকদের মণ্ডপে প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যাও বাড়িয়েছিল হাইকোর্ট।
এদিকে, বাজি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। তারাও পরিবেশ বান্ধব বাজি ফাটানোর পক্ষেই সওয়াল করেছেন। এবার দীপাবলিতে বাংলায় পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়ানো যাবে। ছাড় রয়েছে বিক্রিতেও। সুপ্রিম কোর্টের বাজি সংক্রান্ত নির্দেশ বহাল রেখে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, গ্রিন বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ, ‘কালীপুজো, দীপাবলির দিন রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। নির্দেশ ঠিক মতো পালন করা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখবে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।‘
কালী পুজো ও দিপাবলীতে কোনও ধরনের বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল আতসবাজি উন্নয়ন সমিতি। বিচারপতি এনএম খানউইলকর ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগীর বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। সোমবারই বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের দাবি, ‘পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রি করা যেতে পারে। নির্দেশ মেনে পরিবেশ বান্ধব বা গ্রিন বাজি বিক্রি হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।‘
তবে সব বাজি নিষিদ্ধ, এমনটা হতে পারে না বলেই জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়েছে, বাতাসের মান যেখানে খারাপ, সেখানে পরিবেশ বান্ধব বাজিও ফাটানো যাবে না। তার জন্য পুলিশকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন