কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি-র সদস্য করা হয়েছে তিন জনকে। এই তিন জন হলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সিপি (১) দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। তদন্তের প্রয়োজনে এসআইটি মৃতদেহ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
সম্প্রতি ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সম্প্রতি আগুন জ্বলে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই কিশোরী। ঘটনায়, উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। জনস্বার্থ মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃতার পরিবার। পুলিশ নৃশংসভাবে দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছিল বলেও অভইযোগ ওঠে। যা নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ রেছিলেন। এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগেই পুলিশের থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত।
আরও পড়ুন- পুলিশের নিয়োগ নিয়ে বড় নির্দেশ ‘ক্ষুব্ধ’ মমতার, ট্রেনিংয়েও বদলের পরামর্শ
এদিন আদালত বলেছে, ময়নাতদন্তের সময় নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। পুলিশের রিপোর্ট ও হাসপাতালের বয়ানে কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্তের সময় ভিন্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে আদালত। সেইসঙ্গে এদিন বিচারপতি মান্থা আরও বলেন, ওই কিশোরীর পরিবারকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।
২৮ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তারমধ্যে এই মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে আইপিএস দময়ন্তী সেনের ভূমিকা ও তারপর তাঁকে বদলি নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল। উপেন বিশ্বাস জাঁদরেল সিবিআই অফিসার ছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের পর বাগদার তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। সাম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য ও আদালতে নথি পেশ হইচই ফেলে দিয়েছে। অস্বস্তি বেড়েছে শাসক দলের। প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তকে এ যাবৎকালে নানা টিভি আলোচনায় নিজের মতামত পেশ করতে ধেখা যায়। সম্প্রতি মমতা সরকার না জানিয়ে তাঁর নিরাপত্তা তুলে নিয়েছিল। তারপর আদালত নির্দেশ দেয় পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিতে হবে।