১৪ দিনের ইডি হেফাজতে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বুধবার 'কালীঘাটের কাকুকে' ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণকে ১৪ দিন হেফাজতে চায়েছিল ইডি। যা মঞ্জর হয়েছে।
জামিনের আবেদন জানিয়ে এদিন ঢালাও যুক্তি পেশ করেছিলেন 'কালীঘাটের কাকু'র আইনজীবী সেলিম রহমান। কিন্তু সেসবে আমল দেয়নি।
আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী সেলিম রহমান জানিয়েছিলেন যে, তাঁর মক্কেল অসুস্থ, একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর স্ত্রীও অসুস্থ। কন্যার বিয়ে পর থেকেই স্ত্রীর দেখাশোনা করেন সুজয় নিজেই। তাই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর থাকাটা দরকার। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণের গ্রেফতারি এবং তাঁদের বাড়িতে ইডির তল্লাশিও বেআইনি। আইনজীবীর দাবি, 'কালীঘাটের কাকু'কে গ্রেফতারির সময় কোনও অ্যারেস্ট মেমো দেওয়া হয়নি ইডি-র তরফে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময়ও কোনও নিয়ম মানা হয়নি।
পাল্টা ইডি-র পক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়েছে যে, সুজয়কৃষ্ণ নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তার একাধিক প্রমাণ মিলেছে। 'কাকু'র সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যান্য ধৃতদের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে।
জেরায় সে বহু তথ্য ইচ্ছাকৃত ভাবে গোপন করেছে। যা আদতে গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।