নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটরাজ চালানোর অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই সূত্রেই উঠে আসছে মার্লিন গ্রুপের নাম। কাকুর টাকা মার্লিন গ্রুপ নামের এক নির্মাণ সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করেন ইডির গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে জেরা করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুশীল মোহতাকে তলব করেছিল ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে তাঁর জেরা চলছে।
কী অভিযোগ?
'কালীঘাটের কাকু'র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল নির্মাণসংস্থা মার্লিন গ্রুপের। সুজয়কৃষ্ণের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা এসডি কন্সালটেন্সির দফতরে একাধিক বৈঠক করেছেন মার্লিন গ্রুপের কর্তারা। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন সেখানে এসেছিলেন সংস্থার চেয়ারম্যান সুশীল মোহতা'ও। ইডি সূত্রে খবর, বাজার দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে মার্লিন গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্পে অ্যালুমিনিয়ামের দ্রব্য সরবরাহ করতো কালীঘাটের কাকুর সংস্থা।
সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতারের পর মার্লিন গ্রুপের দফতরে গত মাসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে একটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সেই ফোন এখনও আনলন করা যায়নি। জানা গিয়েছে, মার্লিন গ্রুপের চেয়ারম্যান সুশীল মোহতাকে দিয়ে সেই ফোন আনলক করার চেষ্টা হতে পারে এদিনের জো পর্বে।
সুজয়কৃষ্ণের কালো টাকা মার্লিন গ্রুপে বিনিয়োগ হয়েছে কিনা সে ব্যাপারেও সংস্থার কর্তাকে ইডির গোয়েন্দারা জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন বলে খবর। কেন বেশি দামে 'কাকু'র সংস্থার থেকে মাল কেনা হত তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।