নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ধমনীতে তিনটি 'ব্লকেজ' ধরা পড়েছে। হতে পারে 'বাইপাস সার্জারি'। অসুস্থ অবস্থায় গত ১৭ই জুলাই থেকে 'কাকু' ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। শাীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে এবার জামিনের আবেদন করলেন সুজয়কৃষ্ণ। 'কাকু'র শারীরিক অবস্থা কেমন? ব্যাঙ্কশাল কোর্টের তরপে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তা প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, 'কালীঘাটের কাকু' আইসিইউ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। আগেই তাঁর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ক’দিনে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি আরও খানিকটা খারাপ হয়েছে। তাঁকে কড়া পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজন হলে এবার তাঁর বাইপাস সার্জারি করা হতে পারে।
আরও পড়ুন- ফের বেআব্রু শিক্ষা! একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগেও চরম দুর্নীতি! ‘প্যাঁচে’ পড়ে নামের তালিকা এসএসসির
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থাতেই স্ত্রী বিয়োগের খবর পেয়েছিলেন। তারপর তিনি জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তবে শেষ পর্ষন্ত সুজয়কে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলের মেয়াদ শর্ত সাপেক্ষে আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ১৭ জুলাই প্যারোলের মেয়াদ শেষের পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ফেরানো হয়। কিন্তু জেলে ফিরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন 'কাকু'। সেই দিনই তাঁকে ভর্তি করানো হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘তাজা’ নেতার ছেলেকে বিরাট উপহার মমতার, ভাঙড়ে কী কৌশল তৃণমূলের?
গত ৩০শে মে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রায় সাড়ে ১১ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য সুজয়কৃষ্ণ তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৭০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পরে সুজয়ের কথাতেই তিনি পার্থকে আরও ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। দুর্নীতি চক্রের আরও এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও কাকু'র ভালো যোগাযোগ ছিল।