অর্থের বিনিময়ে চাকরি বিক্রির অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। পার্থ, অর্পিতা সহ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যুক্ত একাধিক হেভিওয়েট জেলে। সদ্য ইডির জালে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। দুর্নীতিতে কী ভূমিকা এই 'কাকু'র? আদালতে রিমান্ড লেটারে চাঞ্চল্যকর সব দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি-র দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসেই বসত চাকরি বিক্রির বৈঠক! কাজ করানোর জন্য সেখানে তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে যেতেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
রিমান্ড লেটারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে যে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ৩২৫ জন অযোগ্য প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দিতে তাপস মণ্ডলের কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। জেরায় সেকথা জানিয়েছেন তাপসবাবু। এর পর সেই তালিকা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের হাতে তুলে দেন কুন্তল। অভিযোগ, তালিকা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বৈঠক করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অভিযোগ, সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। তার মধ্যে ১০ লক্ষ টাকা তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়, তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছেছিলেন সুজয়কৃষ্ণই।
বাকি টাকা কোথায় গেল জানতে মরিয়া গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন- হেফাজতে ধনুর ভাঙা পণ ভাঙলেন ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ! বড় স্বস্তি ইডি-র
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সুজয়কৃষ্ণের হয়ে টাকা লেনদেনের কাজ করতেন রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। তাঁকে সুজয়কৃষ্ণের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে কাউন্সিলর সন্তু ও সুজয়কৃষ্ণকেও মুখোমুখি ববসাতে চায় তারা।
আরও পড়ুন- ‘কালীঘাটের কাকু’র পর বড় মাথাকে ডাকতে ইডি-র তৎপরতা তুঙ্গে, তলব আগামী সপ্তাহেই?
নিয়োদ দুর্নীতিতে গত মঙ্গলবার প্রায় ১২ ঘন্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই সুজয়ের সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলে নিজেই দাবি করেছিলেন 'কাকু'।
আরও পড়ুন- বোমা ফাটালেন ‘কালীঘাটের কাকু’র দাদা, অভিষেককে জড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি