গত ২৭শে জুন প্রয়াত হয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দি 'কালীঘাটের কাকু'র স্ত্রী বাণী ভদ্র। এরপরই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। যদিও স্ত্রীর শেষকৃত্য যোগ দেওয়ার জন্য 'কাকু'কে প্যারলে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তবে সব মিলিয়ে ক'দিন মুক্তি মঞ্জুর হবে সুজয়কৃষ্ণের তা আজ, শুক্রবার বিবেচনার কথা জানানো হয়েছিল। সেই মতো শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে শর্ত সাপেক্ষে 'কালীঘাটের কাকু'র প্যারোলের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৬ই জুলাই পর্যন্ত প্যারোলে মুক্ত তাকবেন 'কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
কী শর্ত?
স্ত্রীর পৌরলৌকিক ক্রিয়ায় থাকতে পারবেন 'কালবীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
আজ (শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩) বেলা ৩টের পর থেকে ইডি তাঁর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর একজন জওয়ান রাখতে পারে। ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার একজন অফিসার তাঁর বাড়িতে উপস্থিত থাকবেন ১৬ জুলাই পর্যন্ত। একটা রেজিস্টার মেন্টেন করতে হবে। তাঁর স্ত্রীর কাজের জন্য বাড়ির কাছাকাছি কোনও মন্দিরে যেতে চাইলে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে পরিবারের পাঁচজন সদস্য 'কাকু'র সঙ্গে যেতে পারবেন। ৪৮ ঘন্টা আগে জানাতে হবে সুজয়কৃষ্ণ কোথায় যাবেন।
গত সোমবার রাত ১টা নাগাদ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সুজয়ের স্ত্রী বাণী ভদ্রের। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। জেলে থেকেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। এরপরই গত মঙ্গলবার শুনানিতে সুজয়ের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেছিলেন, 'আমরা অন্তত ১৫ দিনের জন্য জামিন চাইছি। ওঁর (সুজয়কৃষ্ণ) স্ত্রী মারা গিয়েছেন।' এ কথা শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেছিলেন, 'সেটা পরে বিবেচনা করব। জেল যদি প্যারোল দেয় আমার আপত্তি নেই।' ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি আদালতকে জানিয়েছিলেন যে, 'এসকর্ট ছাড়া প্যারোল দিলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।' প্রত্যুত্তরে বিচারপতি বলেছিলেন, 'কোর্ট কোনও প্যারোল দিচ্ছে না। জেল যদি প্যারোল দেয় সে ক্ষেত্রে এসকর্ট যাতে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হবে। শ্মশানযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য জেল কোড অনুযায়ী আজ ছাড়তে পারে।'