Advertisment

Premium: দুঃসাধ্য সংগ্রামে অসাধ্য সাধন! দুরন্ত দক্ষতায় গগনচুম্বী সাফল্য! ৩ বঙ্গতনয়ার এগল্প প্রেরণা দেবে!

Success Story: এমন কাহিনী খুব বিশেষ একটা শোনা যায় না। দিনের পর দিন ধরে যেভাবে এই তিন বঙ্গতনয়া তাঁদের নিদারুণ পারদর্শিতায় বাংলা তথা গোটা দেশের মুখ উজ্বল করে চলেছেন, সে কীর্তির যত তারিফ করা যায় ততই যেন কম পড়ে। নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন এই তিন বঙ্গতনয়া। জীবনের প্রতিটি ধাপে চলেছে লড়াই। এসেছে বাধা। তবে সব বাধাকে টপকে আজ এঁরা সাফল্যের শিখরে। এমন অসামান্য লড়াই কাহিনীর গোটাটা জানলে অন্যরাও অনুপ্রেরণা পাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
kalimpong 3 girl glorifies west bengal police winners team by their initiativeness

Success Story: এমন গল্প অনেককেই অনুপ্রাণিত করবে।

Success Story: নিতান্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা তিন বঙ্গনতনয়ার এমন গল্প অন্যদের অনুপ্রেরণা দেবেই। রাজ্যের এই পাহাড়ি প্রান্তের এই তিন মেয়ের কাণ্ড জানলে বাঙালি হিসেবে গর্বে বুক চওড়া হবে।

Advertisment

ওঁরা কালিম্পঙ (Kalimpong) জেলা পুলিশের তিন কর্মী। পথে-ঘাটে মহিলাদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে এরাজ্যের প্রতিটি জেলায় এবং কমিশনারেটগুলিতে মহিলা পুলিশকর্মীদের বিশেষ টহলদারি বাহিনী তৈরি হয়েছে। কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছে 'উইনার্স' (Winners) টিম। এই তিন বঙ্গতনয়াই রাজ্য পুলিশের ওই বিশেষ বাহিনীর সদস্যা। সোলোমি খাটি, সঞ্জিতা রাই, পদ্মা মুখিয়া। প্রথম দু'জন মহিলা হোমগার্ড (home guard), তৃতীয় জন সিভিক ভলান্টিয়ার (civic volunteer)। তিন কন্যা।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি কালিম্পঙয়ের (Kalimpong) 'উইনার্স' টিমের প্রতিটি সদস্যাকেই নিয়মিত দেওয়া কিকবক্সিংয়ের (Kickboxing) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সোলোমি, সঞ্জিতা এবং পদ্মা, তিনজনেই কিকবক্সিংয়ে ক্রমশ বিশেষ পারদর্শী হয়ে উঠেছেন। এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এশিয়ান কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ (asian kickboxing championship) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছেন ২৮ বছর বয়সী সোলোমি।

আরও পড়ুন- Digha: দিঘায় ‘অজন্তা-ইলোরা’র গুহা? তাজ্জব আশ্চর্য্য দেখতে উপচে পড়া ভিড় পর্যটকদের!

মেয়েটি কালিম্পঙের এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলাতেই তিনি হারিয়েছেন মা-বাবাকে। গত বছরের নভেম্বরে পর্তুগালে (Portugal) অনুষ্ঠিত বিশ্ব কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপেও (world kickboxing championship) ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সোলোমি। তাঁর হাত ধরেই অচিরেই আন্তর্জাতিক কিকবক্সিংয়ের (international kickboxing championship) মানচিত্রে উঠে এসেছে কালিম্পঙয়ের এক অখ্যাত গ্রামের নাম।

পিছিয়ে নেই সঞ্জিতা এবং পদ্মাও। সম্প্রতি বিহারের (Bihar) পূর্ণিয়ায় অনুষ্ঠিত 'খেলো ইন্ডিয়া ন্যাশনাল উইমেন কিকবক্সিং লিগে’ (khelo india women's kickboxing league) সঞ্জিতা জিতেছেন সোনা। ওই একই প্রতিযোগিতায় রুপো জিতেছেন পদ্মা।

আরও পড়ুন- Travel: কাঁপাচ্ছে ‘হাওয়াই চটি’! বেড়ানোর তুফানি স্বাদ এতল্লাটেই! দুরন্ত কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

খুবই সাধারণ নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়ে এই তিনজনেই। প্রত্যেকেই বাড়ির কাজকর্ম সামলে রোজ ডিউটি করে। তবে ডিউটির ফাঁকেই নিজেদেরও তাঁরা উজাড় করে দেন নিবিড় অনুশীলনে। নিদারুণ দক্ষতায় রাজ্যের পাশাপাশি দেশের জন্যও তাঁরা নিয়ে এসেছেন গর্বের সম্মান।

আরও পড়ুন- Mimi Chakraborty: কাছ থেকে দেখেছেন দেবকে, সবদিক ভেবে ‘ইস্পাতকঠিন’ সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন মিমি!

Kalimpong West Bengal Police winners
Advertisment