কালীপুজোয় যখন চারদিক শব্দবাজির আওয়াজে গমগম করে, ওদের কিন্তু খুব কষ্ট হয়। প্রতিবছর কালীপুজো ও দীপাবলির সময় যখন গোটা শহর আলোর আনন্দে গা ভাসায়, তখন ওদের চোখেমুখে ভিড় করে একরাশ আতঙ্ক। ওরা হয়ত ভাবে কালীপুজোর পর ওদের কানের বারোটা বাজবে না তো? আবার কেউ ওদের হেনস্থা করবে না তো? সেই চারপেয়েরাই এবার শব্দবাজির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পথে নামল। হ্যাঁ, শব্দবাজির তাণ্ডব ঠেকাতে জনমানসে সচেতনতার বার্তা দিতে এবার কুকুরদের নিয়ে অভিনব মিছিল করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ২০টি কুকুরকে নিয়ে থানা সংলগ্ন এলাকায় সচেতনতামূলক মিছিল করা হল।
শব্দবাজি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কুকুরদের নিয়ে এমন অভিনব মিছিল কেন? জবাবে বাঁশদ্রোণী থানার অতিরিক্ত ওসি প্রবীর মণ্ডল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বললেন, "দীপাবলিতে বাজি পোড়ালে কুকুরদের সবথেকে বেশি সমস্যা হয়। ওদের উপর বেশি প্রভাব পড়ে। কারও শ্রবণশক্তি চলে যায়, কারও হৃদরোগজনিত সমস্যা হয়। তাছাড়া অনেকসময়ই সারমেয়দের উপর অত্যাচার করা হয়। ওদের লেজে বাজি বেঁধে দেওয়া হয়। ফলে খুব ভয় পেয়ে যায় ওরা। সেকারণেই এই বার্তা দিতেই এমন উদ্যোগ।"
src="https://www.youtube.com/embed/lrxAxuQc_kA" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">
আরও পড়ুন: কালীপুজোয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে নামবে কলকাতা পুলিশ
এদিনের অভিনব মিছিল প্রসঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, "বাজি পোড়ানো আমাদের পক্ষেও ক্ষতিকারক। যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খুব সমস্যা হয়।" তিনি বলেন যে, "আবেগ তো থাকে ঠিকই কিন্তু একটা ব্যালান্স করে সবকিছু করা দরকার।"
এদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাঁশদ্রোণী থানা সংলগ্ন এলাকায় মিছিল করা হয়। মিছিলে হাঁটে ২০টি কুকুর। মিছিলে স্থানীয়দের পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন কয়েকটি পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও। অন্যদিকে, প্রতি বছরের মতো, এবারও কালীপুজোর আগেই পুলিশি ধরপাকড়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি।