
কেন এমন ভাবনা?
শিল্পের জন্য এত বিকল্প থাকতে কালীপুজোর মণ্ডপ সজ্জায় সেফটিপিন কেন? জাগৃতি সংঘের ক্লাব কর্তা প্রবীর ঘোষ বলেন, “আমরা প্রতি বছরই থিমে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করে যাই। এ বছরে সেই ভিন্নতায় নতুন মাত্রা আনতে সেফটিপিন দিয়েই মণ্ডপ এবং প্রতিমা সজ্জার ভাবনা রেখেছি। সেফটিপিন যেরকম বিপদে আপদে কোনও কিছুকে আটকে রাখতে আমাদের সাহায্য করে, তেমনই সমাজের যা যা ভালো দিক আছে সেগুলিকে বেঁধে রাখতেই এই ভাবনা আমাদের।”

জাগৃতি সঙ্ঘের এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন শিল্পী অজয় পাল। ৬৬ লক্ষেরও বেশি সেফটিপিন দিয়ে মণ্ডপকে সাজিয়ে তোলার দায়িত্বভার নিয়েছেন অজয়। এ মুহূর্তে চলছে শেষ মুহুর্তের ‘টাচ আপ’ পর্ব। অন্ধকারে আলোর বাঁধনকে কতটা সফলভাবে বাঁধলেন শিল্পী তা অবশ্য বলবেন দর্শনার্থীরাই। তবে বঙ্গ জীবনের অন্যতম অঙ্গ সেফটিপিনের ব্যবহার করে তৈরি এই থিম যে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য।