Kalna TMC leader arrest: বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে থাপ্পড় মারার অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হল। ধৃত তৃণমূল নেতার নাম গোপাল তিওয়ারি। ধৃতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তবে, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। এই ঘটনায় জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার গোপাল তিওয়ারিকে কালনা মহকুমা আদালতে পেশের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা জামিন পেয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কালনার শ্বাসপুর দেবনাথ পাড়া এলাকায়। একটি জায়গায় পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়। সেই ঘটনায় এক মহিলা-সহ তাঁর পরিবারের লোকজনদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গোপাল তিওয়ারি ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মারধরের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভিডিও ভাইরাল
ভিডিওতে অবশ্য শুধু মারধর নয়। তাতে দুই পক্ষই একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, এমনটাই দেখা গিয়েছে। এরপর গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানান কালনার দেবনাথ পাড়া এলাকার আক্রান্ত গৃহবধূ সুজাতা পাল। শনিবার কালনা হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের বাড়ির পাশে একটি জমি রয়েছে। সেই জমি ঘিরে নেওয়াকে কেন্দ্র করে একটি ঝামেলা হয়। গোপাল তিওয়ারি ও তাঁর দলবল গতকাল শাশুড়িকে মারধরের পর আজ শনিবার সকালে আমাকে এবং আমার পরিবারের বেশ কয়েকজনকে মারধর করেছে।'
এরপরই তিনি গোটা বিষয়টি জানিয়ে থানার দ্বারস্থ হন বলে ওই গৃহবধূ জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূল নেতা গোপাল তেওয়ারির দাবি, 'আমার কেনা জায়গায় পাঁচিল দিয়েছিলাম। সেই পাঁচিল ওঁরা ভেঙে দিয়েছে। এমনকী আজ সকালে বলতে যাওয়ার কারণে উলটে আমাকেই মারধর করেছে।' পালটা গোটা বিষয়টি নিয়ে থানার দারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিলেন গোপালবাবু।
আরও পড়ুন- ডায়মন্ড হারবার লোকালে আগুনের ফুলকি! দেখেই চিৎকার যাত্রীদের, বড়সড় বিপদ থেকে রক্ষা
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, 'আইন কারও হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, দোষ কার।' পালটা, বিজেপির সহ-সভাপতি সুভাষ পাল বলেন, 'যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই।' পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ জানিয়েছেন, 'ওই ঘটনার রাতেই অভিযুক্ত গোপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।'
শেষ পর্যন্ত রবিবার গোপাল তিওয়ারি জামিন পেয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, 'বাংলায় এখন শাসক দলের শাসন চলছে। তাই শাসক দলের লোকজন যতবড় অপরাধই করুক না কেন, তারা জামিন পেয়ে গিয়ে বুক ফুলিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। কালনার ঘটনা তারই বাস্তব প্রমাণ।'