Advertisment

কীভাবে চোর থেকে সিরিয়াল কিলার হল কালনার কামরুজ্জামান?

ভাঙাচোরা জিনিসের ব্যবসা করত কামরুজ্জামান। কালনায় বাড়ি বানাতে গিয়ে বিপুল দেনা হয় তার। দেনা শোধ করতে না পেরে সহজে মোটা টাকা পেতে চুরির রাস্তা বেছে নেয় সে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
100 crore fraud monty chadha

কালনায় সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনায় নয়া তথ্য হাতে পেল পুলিশ। ২০১৩ সালে খুনে হাতেখড়ি ‘সিরিয়াল কিলার’ কামরুজ্জামান সরকারের, ধৃতকে জেরা করে এমন তথ্যই হাতে এসেছে পুলিশের। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, কালনায় বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে দেনায় ডুবে গিয়েছিল কামরুজ্জামান। দেনা শোধ করতে না পেরেই চুরির রাস্তা বেছে নেয় শেষ পর্যন্ত। তবে চুরি করতে গিয়ে দু’বার ধরাও পড়ে সে। একবার তাকে গণধোলাইও দেওয়া হয়। এছাড়া চুরির অপরাধে একবার জেলও খেটেছে কামরুজ্জামান। জানা যাচ্ছে, চুরি করতে করতেই খুনের নেশা চাপে তার মাথায়। সেই থেকেই কামরুজ্জামান হয়ে যায় 'সিরিয়াল কিলার'।

Advertisment

আরও পড়ুন: খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক? কালনার সিরিয়াল কিলিং-এর তদন্তে পুলিশ

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ভাঙাচোরা জিনিসের ব্যবসা করত কামরুজ্জামান। কালনায় বাড়ি বানাতে গিয়ে বিপুল দেনা হয় তার। দেনা শোধ করতে না পেরে সহজে মোটা টাকা পেতে চুরির রাস্তা বেছে নেয় সে। কিন্তু চুরি করতে গিয়ে প্রথমে কয়েকবার ধরাও পড়ে সে। বলাগড়ে চুরির পর ধরা পড়ে কামরুজ্জামান। সেবার তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে চুরির ঘটনায় কামরুজ্জামানকে জেল খাটতে হয়। এরপরই চুরির কৌশল বদলে ফেলে কামরুজ্জামান। রীতিমতো ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই চুরির ছক সাজায় সে। এ সময়ই কামরুজ্জামানের টার্গেট হন একাকী মহিলারা। দীর্ঘদিন ভাঙাচোরা জিনিসের ব্যবসা করায় কামরুজ্জামান ভালভাবেই জানত, কোন এলাকায়, কোন বাড়িতে মহিলারা একা থাকেন। আর সেইমতো সেসব বাড়িতে চড়াও হত সে। কামরুজ্জামানকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধরা পড়ার ভয়ে বড় বাড়িতে চুরির ছক কষত না কামরুজ্জামান।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে প্রথম খুন করে কামরুজ্জামান। এরপর দ্বিতীয় খুন করে ২০১৮ সালে। এই ৫ বছরে তার গতিবিধি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। চুরি করতে গিয়েই খুনের নেশা চেপে বসে কামরুজ্জামানের। তারপরই পরপর খুন করতে থাকে সে। এখান থেকেই তার মধ্যে জন্ম নেয় বিকৃত মানসিকতা। উল্লেখ্য, খুনের পর মৃতদের সঙ্গে যৌনাচার করত কামরুজ্জামান, এমন চাঞ্চল্যকর দাবিই করেছে পুলিশ। যদিও কামরুজ্জামানের মানসিক স্থিতি নিয়ে এখনই বিশদে কিছু জানায়নি পুলিশ। বছর পঁয়ত্রিশের কামরুজ্জামান খুনের সময় চেন ব্যবহার করত বলে জানা গিয়েছে।

kolkata news
Advertisment