/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/05/kalyan-mamata-2025-08-05-08-33-51.jpg)
Kalyan Banerjee, Mamata Banerjee, Mahua Moitra: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র।
Kalyan Banerjee: পদ ছাড়ার পরেই দলের প্রতি একরাশ অভিমান প্রকাশ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সংবাদমাধ্যমকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেছেন, " মমতাদিকে যারা গালাগাল দেয় দিদি তাদেরই সম্মান দেন। দিদি বলছেন লোকসভায় কোনও কো-অর্ডিনেশন হচ্ছে না। আমার দিকেই নিশানা করা হয়েছে।"
লোকসভায় দলের চিফ হুইপ পদ থেকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের জায়গায় চিফ হুইপ করা হয়েছে বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিরস্কার বুঝতে পেরেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে ইস্তফা দেওয়ার পরেই দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, "দিদি বলেছেন আমি নাকি ঝগড়া করছি। আমাকে গালাগালি দিলে আমি কি সহ্য করব? দল উল্টে আমাকেই দায়ী করছে। আমি ইস্তফা দিলে যদি লোকসভায় ভালোভাবে দল চলে তবে সেটাই চলুক।"
দলের প্রতি একরাশ অভিমান উপড়ে দিয়ে কল্যাণ আরও বলেছেন, " মমতাদিকে যারা গালাগালি দেয়, দিদি তাদেরই সম্মান করেন।মমতাদি বলছেন লোকসভায় ঠিকভাবে সমন্বয় করা হচ্ছে না। অর্থাৎ আমার দিকেই আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। তাই আমি ছেড়ে দিলাম।"
আরও পড়ুন- TMCP Foundation Day: TMCP প্রতিষ্ঠা দিবসেই পরীক্ষা? চাপের মুখে কী সিদ্ধান্ত উপাচার্যের
আজ লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স পোস্ট করে তারই দলের সংসদ মহুয়া মৈত্রকে কার্যত তুলোধোনা করে লিখেছেন,
সোমবার লোকসভায় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে ইস্তফার পরেই তৃণমূলেরই সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে দীর্ঘ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, "সম্প্রতি একটি পাবলিক পডকাস্টে মিসেস মহুয়া মৈত্রের করা ব্যক্তিগত মন্তব্য আমি লক্ষ্য করেছি। তার শব্দ নির্বাচন, যার মধ্যে একজন সহকর্মী সাংসদকে "শুয়োরের" সাথে তুলনা করার মতো অমানবিক ভাষা ব্যবহার করা কেবল দুর্ভাগ্যজনকই নয় বরং নাগরিক আলোচনার মৌলিক নিয়মের প্রতি গভীর অবজ্ঞার প্রতিফলন। যারা মনে করেন যে আপত্তিকর বক্তব্য সারাংশের স্থান নিতে পারে তাদের উচিত তারা যে ধরণের রাজনীতি অনুশীলন করছেন - এবং এটি যে শূন্যতা প্রকাশ করে তা গভীরভাবে পর্যালোচনা করা। যখন একজন জনপ্রতিনিধি নাম-ডাক এবং রূঢ় কটাক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়েন, তখন এটি শক্তি নয়, বরং নিরাপত্তাহীনতা প্রতিফলিত করে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই: আমি যা বলেছি তা হল জনসাধারণের জবাবদিহিতা এবং ব্যক্তিগত আচরণের প্রশ্ন, যার মুখোমুখি হতে প্রতিটি জনসাধারণকে প্রস্তুত থাকতে হবে - পুরুষ হোক বা মহিলা। যদি এই তথ্যগুলি অসুবিধাজনক বা অস্বস্তিকর হয়, তবে যাচাই-বাছাই এড়াতে বৈধ সমালোচনাকে "অপব্যবহার" হিসাবে চিহ্নিত করা যুক্তিসঙ্গত নয়।"
I have taken note of the recent personal remarks made by Ms. Mahua Moitra in a public podcast. Her choice of words, including the use of dehumanising language such as comparing a fellow MP to a "pig", is not only unfortunate but reflects a deep disregard for basic norms of civil…
— Kalyan Banerjee (@KBanerjee_AITC) August 4, 2025
তিনি আরও লিখেছেন, "একজন পুরুষ সহকর্মীকে 'যৌনভাবে হতাশ' হিসেবে চিহ্নিত করা সাহসিকতা নয় - এটি সরাসরি অপব্যবহার। যদি এই ধরনের ভাষা একজন মহিলার দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে দেশব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হবে, এবং ঠিকই। কিন্তু যখন একজন পুরুষ লক্ষ্যবস্তু হন, তখন তা খারিজ করা হয় অথবা প্রশংসাও করা হয়। স্পষ্ট করে বলা যাক: নির্যাতনই নির্যাতন - লিঙ্গ নির্বিশেষে। এই ধরনের মন্তব্য কেবল অশ্লীল নয়, এটি একটি বিষাক্ত দ্বৈত মানকে আরও শক্তিশালী করে যেখানে পুরুষদের কাছ থেকে নীরবে এমন কিছু সহ্য করার আশা করা হয় যা ভূমিকা বিপরীত হলে কখনই সহ্য করা হবে না। যদি মিসেস মৈত্র মনে করেন যে অপমানজনক মন্তব্য তার নিজের ব্যর্থতাকে ঢেকে দেবে অথবা তার রেকর্ড সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্নগুলি থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে, তাহলে তিনি নিজেকে প্রতারিত করছেন। যারা উত্তরের পরিবর্তে নির্যাতনের উপর নির্ভর করে তারা গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন নয় - তারা এর লজ্জা, এবং এই দেশের মানুষ এই ঘটনাটি বুঝতে পারে।"
আরও পড়ুন-TMC Minister Threaten Police:অনুব্রতর পর ফের IC কে নিশানা, থানা ঘেরাওয়ের ডাক মমতা ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীর