এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপাকে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে জামিন পেয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির 'মিডলম্যান' প্রসন্নকুমার রায়। এবার শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিল কলকাতার উচ্চ আদালত।
বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে, তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করতে হবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না। প্রবেশ করতে পারবেন না বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায়। নিম্ন আদালতে পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে।
২০১০ সাল থেকে টানা প্রায় ১০ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কল্যাণময়। সেই সময়ই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছিল বলে অভিযোগ। মূলত স্কুলে গ্ৰুপ-সি এবং গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় কল্যাণময়ের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বাগ কমিটিও নিয়োগ দুর্নীতিতে পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে।
২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টানা জেরার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল কল্যাণময়কে। এর আগে বিশেষ সিবিআই আদালত এবং হাইকোর্টে কল্যাণময়ের জামিনের আবেদন একাধিকবার খারিজ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এ দিন তাঁকে জামিন দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আর্থিক দুর্নীতি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির কোনও অভিযোগ নেই কল্যাণের বিরুদ্ধে। মেলেনি গুরুত্বপূর্ণ কোনও নথিও। তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করলেও তা গ্রাহ্য গয়নি।
এদিন কল্যাণনয় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের ফলে ফের সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
কল্যাণময় ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও শ্রীঘরে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিনহারা। জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও জেলবন্দি তৃণমূলের দুই বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ও মানিক ভট্টাচার্যও।