দুপুরে জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু, রাতেই ফের গ্রেফতার করা হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। ফলে তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। আদালতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়াতেই ফের গ্রেফতার করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে।
এর আগে বুধবার দুপুরে জামিন পান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ দেয়, তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না। প্রবেশ করতে পারবেন না বিধাননগর কমিশনারেট এবং পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায়। নিম্ন আদালতে পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। এই সব শর্তেই দেওয়া হয় জামিন।
একবছরেরও বেশি সময় জেলে আছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর টানা জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনের জন্য তিনি বিশেষ সিবিআই আদালত এবং হাইকোর্টে বারবার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, প্রতিবারই তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বুধবার তাঁকে জামিন দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির কোনও অভিযোগ নেই। কোনও গুরুত্বপূর্ণ নথিও মেলেনি। সেকথা মাথায় রেখেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু, তারপরও সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।
আরও পড়ুন- শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জামিন, এবার কে?
বাম জমানায় ২০১০ সাল থেকে তৃণমূলের জমানা, টানা প্রায় ১০ বছর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কল্যাণময়। সেই সময়ই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে গ্ৰুপ-সি এবং গ্ৰুপ-ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আবার নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।