/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/ration.jpg)
গরিবের খাবার নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে পাকড়াও রাজ্য়ের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন সকালে সিজিও থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মন্ত্রীকে জোকার ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক তখনই সিজিওতে ঢোকেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেই থেকে ইডি গোয়েন্দাদের জেরার মুখোমুখি গোপালবাবু।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে মোট ১৪টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে, যার সঙ্গে সরকারি আধিকারিক, প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী এবং বিধায়ক জড়িত রয়েছেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, যে সব পুরসভায় নিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে— উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর, পানিহাটি, কামারহাটি, হালিশহর পুরসভা সহ বেশ কয়েকটি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে নিয়োগের পদ্ধতিতে গড়মিল রয়েছে।
আরও পড়ুন-শ্রীঘরে জ্যোতিপ্রিয়, বড় আশঙ্কা দিলীপের! তোলপাড় ফেলে কী বললেন?
রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কামারহাটি পুরসভার কাছে ইতিমধ্যেই নথি চেয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। তার আগে এই মামলায় পুরসভার ১৮ জন কর্মীকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মতো তাঁরা তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন।
ধৃত অয়ন শীলের সূত্রেই তাঁর পরিচিতা শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠেছিল। সেই শ্বেতা কামারহাটি পুরসভাতেই চাকরি করেন। অয়নের সূত্রে শ্বেতার নাম উঠে আসার পর পুরসভায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন মদন মিত্র।