Kanchanjunga Express Accident: দ্রুত গতিতে মালগাড়ি চালানোর জেরেই বিপত্তি। নিয়ম অমান্য করেছেন মালগাড়ির চালক এবং সহ-চালকরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে গোটা দুর্ঘটনার দায়ভার মালগাড়ির চালক অনিল কুমার, সহ-চালক মনু কুমার এবং গার্ড ভাবেশকুমার শর্মার কাঁধেই চাপানো হয়েছে।
Kanchanjunga Express Accident: দ্রুত গতিতে মালগাড়ি চালানোর জেরেই বিপত্তি। নিয়ম অমান্য করেছেন মালগাড়ির চালক এবং সহ-চালকরা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে যা উঠে এসেছে তাতে গোটা দুর্ঘটনার দায়ভার মালগাড়ির চালক অনিল কুমার, সহ-চালক মনু কুমার এবং গার্ড ভাবেশকুমার শর্মার কাঁধেই চাপানো হয়েছে।
Advertisment
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮.২৭ মিনিটে রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ওইদিনই ভোর সাড়ে ৫টা থেকে রাঙাপানি এবং চটেরহাট স্টেশনের মাঝে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিট বা কাগুজে অনুমতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছিল। সেই মতো কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে টিএ-৯১২ এবং টি-৩৬৯ ৩বি ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। পরে সকাল ৮.৪২ মিনিটে রাঙাপিন স্টেশন ছাড়ার সময় ওই মালগাড়িকেও একই দুটি ফর্ম দেওয়া হয়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, টি-৩৬৯ ৩বি ফর্মে ট্রেনের গতিবেগের কথা উল্লেখ থাকে। সেই ফর্মে উল্লেখ ছিল, ট্রেনের গতি কোনওমতেই যেন ১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি না হয়। কিন্তু পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে উঠে এসেছে, নিয়ম অমান্য করে দ্রুতগতিতে মালগাড়ি চালানো হয়েছিল। তাই গোটা ঘটনার জন্য দায়ী মালগাড়ির চালক, সহ-চালক এবং গার্ড।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাঙাপানি স্টেশনের কাছেই শিয়ালদহ গামী ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে এসে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মালগাড়ির চালক-সহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত একাধিক। অনেকেই এখনও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।