Advertisment

Kanchanjunga Express: ইদ ভুলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দুর্গতদের উদ্ধারে গোটা গ্রাম, মমিরুলদের 'কুরবানি' যেন সার্থক

Kanchanjunga Express Accident: সোমবার ছিল কুরবানির ইদ। এমন দিনে যে বীভৎস ঘটনা ঘটবে তা কারওরই অনুমান ছিল না। তা সে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরাই হোক বা নির্মল জোত গ্রামের বাসিন্দারা যারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য প্রথমে ছুটে আসেন।

IE Bangla Web Desk এবং Subhamay Mandal
New Update
Kanchanjunga Express Accident

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশ, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

Kanchanjunga Express Accident: সোমবার ছিল কুরবানির ইদ। এমন দিনে যে বীভৎস ঘটনা ঘটবে তা কারওরই অনুমান ছিল না। তা সে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরাই হোক বা নির্মল জোত গ্রামের বাসিন্দারা যারা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য প্রথমে ছুটে আসেন।

Advertisment

দিনটি ইদ উদযাপন দিয়ে শুরু হয়েছিল। এটি ইদ-আল-আজহার খুশিতে ডগমগ ছিলেন গ্রামবাসীরা। মহম্মদ মমিরুল (৩২)-এর মতো অনেক বাসিন্দা নামাজের মাধ্যমে তাঁদের দিন শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। যা মুহূর্তের মধ্যে সব বদলে দেয়।

দুর্ঘটনায় অন্তত নয়জন নিহত ও প্রায় ৪১ জন আহত হয়েছেন। “আমি সবেমাত্র নামাজ পড়ে ফিরে এসেছি এবং বাড়ির সবাই উদযাপন করার মেজাজে ছিল যখন আমরা হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। আমি আমার বাড়ির কাছে রেললাইনের দিকে ছুটে গিয়ে দেখি লাইনচ্যুত বগিগুলো। মালগাড়িক লোকো পাইলটকে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে থাকতে দেখেছি। আমি যখন তাঁর কাছে পৌঁছলাম, ততক্ষণে সব শেষ”, বলেন মমিরুল।

মমিরুলের সঙ্গে নির্মল জোতের ১৫০ জনেরও বেশি বাসিন্দা যোগ দিয়েছিলেন উদ্ধারকাজে। উৎসব ভুলে গ্রামবাসীরা যাত্রীদের উদ্ধার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে ছুটে আসেন। অ্যাম্বুল্যান্স না থাকায় তাঁদের অনেকেই নিজের গাড়িতে যাত্রীদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যান। যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

আরও পড়ুন Kanchanjunga Express: ‘রক্তাক্ত শিশুকন্যাকে কোলে শোকে পাথর মা!’ শিউরে ওঠার মতো অভিজ্ঞতা জীবিত যাত্রীদের

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, পুলিশ, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল এক ঘণ্টারও বেশি সময় পরে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে।

আরও পড়ুন Kanchanjunga Express Train Accident Live Updates: অভিষপ্ত যাত্রা শেষ, রাত সোয়া তিনটেয় শিয়ালদহে পৌঁছল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস

গ্রামের আরেক বাসিন্দা মহম্মদ নজরুল জানান, তিনি দুর্ঘটনাস্থলে ছয়টি মৃতদেহ দেখতে পান এবং প্রায় ৩৫ জনকে উদ্ধার করেন।

“আমি উৎসবের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে একজন বয়স্ক মহিলা ছিলেন যিনি আহত হয়ে দাঁড়াতে পারছিলেন না। আমি তাঁকে জলের জন্য কাঁদতে দেখেছি। তাঁকে অসহায় লাগছিল। আমি তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম এবং পরে তাঁর আত্মীয়রা শিলিগুড়ি থেকে এসে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়,” বাসিন্দা তসলিমা খাতুন বলেছেন।

"গত বছর যখন বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তখন আমার খবরটি দেখার কথা মনে আছে কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি যে আমি এরকম কিছু দেখব," তিনি যোগ করেছেন।

West Bengal kanchanjunga express kanchanjunga express accident indian railway Eastern Railway
Advertisment