প্রায় ৪৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। অবশেষে শুরু হল কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনার বয়ান রেকর্ড প্রক্রিয়া। তদন্তের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়েছে ‘কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি’র উপর। ইতিমধ্যে রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার, তিনজন গেটম্যান সহ মোট ২০ জনকে তলব করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা? তা খুঁজে বের করতেই মরিয়া রেলকর্তারা।
এদিকে ট্রেনদুর্ঘটনায় আহত এক যাত্রী চৈতালি মজুমদার রেলের বিরুদ্ধেই মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন ওই মহিলাকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয় জিআরপি, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মালগাড়ির চালকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে সিট গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : < Kolkata TMC News: খাস কলকাতায় তৃণমূলের নজিরবিহীন কোন্দল, মাটিতে ফেলে বেধড়ক মার, রক্তাক্ত কাউন্সিলার >
আহত ওই মহিলা যাত্রী জানিয়েছেন, 'এমন কোন অভিযোগের কথা তিনি জানেন না'। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, 'হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সিভিল ড্রেসে থাকা বেশ কয়েকজন জিআরপি আধিকারিক পরিচয় দিয়ে সাদা কাগজে তাঁর বাবার নাম ঠিকানা লিখিয়ে নিয়ে সই করিয়ে নেন'। তিনি আরও বলেন, 'প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন দুর্ঘটনার স্টেটমেন্ট নেওয়া হচ্ছে'। পরে এফআইআরের কথা জানতে পেরে রীতিমত অবাক।
আরও পড়ুন : < Post-Poll Violence: কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না ভোট পরবর্তী হিংসা, কাঁথিতে পিটিয়ে খুন ঘরছাড়া বিজেপি নেতার বাবা >
৯টা সিগন্যাল পোস্ট পার করে যাওয়ার পরে হঠাৎ কেন দাঁড়িয়ে পড়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস? টি-৯১২ ফর্ম, অর্থাৎ লাল সিগন্যাল সীমিত গতিতে পার করার অনুমতি পাওয়ার পরেও কেন বেশি ছিল মালগাড়ির গতি? কেনই বা মালগাড়ির চালককে জানিয়ে দেওয়া হয়নি, সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘা দাঁড়িয়ে? এমন বহু প্রশ্নের উত্তরই এখনও অধরা। আর সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পূর্ব রেল।