Advertisment

সংস্কারের লক্ষ লক্ষ টাকা কোথায় খরচ? বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিধন্য কপালকুণ্ডলা মন্দিরের দশায় প্রশ্ন

সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলার মন্দিরের বর্তমান দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও।

IE Bangla Web Desk এবং Nilotpal Sil
New Update
Kapalkundala temple is in dilapidated condition due to lack of proper renovation

কপালকুণ্ডলা মন্দির ।

ঢাক-ঢোল পিটিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে সংস্কারের নামে। কিন্তু কোথায় কী! কয়েক বছর যেতে না যেতেই প্রাচীন মন্দিরের কঙ্কালসার দশাটা ফের বেরিয়ে পড়েছে। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলার মন্দিরের বর্তমান দশায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাও। মন্দির সংস্কারের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচের কথা বলা হলেও আদতে তার কতটা খরচ হয়েছে তা নিয়েই তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন।

Advertisment

পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ২ নং ব্লকের মধ্যেই রয়েছে এই কপালকুণ্ডলা মন্দির। প্রাচীন এই মন্দিরটি সংস্কারের দাবি উঠেছিল বহু দিন ধরে। শেষমেশ কয়েক বছর আগে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করে এই মন্দিরের সংস্কারের কাজ হয়েছিল বলে শোনা যায়। যদিও পরের কয়েক বছর যেতে না যেতেই খুলে পড়ছে মন্দিরের চাঙর, কাঠের দরজাও ভেঙে বেরিয়ে আসার জোগাড়। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যয়ের লেখা 'কপালকুণ্ডলা' উপন্যাসেই উল্লেখ মেলে এই মন্দিরের।

মন্দিরটি সংস্কারের কাজ করেছিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। তবে সংস্কারের পর বিগ্রহ না বসায় খালি মন্দিরই দর্শনে আসেন পর্যটকরা। এই এলাকার কাছেই রয়েছে বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত। রয়েছে দারিয়াপুর বাতিস্তম্ভ ও পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর। পর্যটকরা ওই এলাকাগুলিতে এলে কপালকুণ্ডলা মন্দির দেখতেও আসেন।

আরও পড়ুন- আলোর উৎসবেই বাংলায় শীতের ইনিংস শুরু? মারকাটারি পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

সংস্কারের পর কয়েক বছর যেতে না যেতেই মন্দিরটির এমন দশায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। সরকারি টাকা মন্দির সংস্কারের কাজে কতটা ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, হেরিটেজ এই মন্দিরে মূর্তি বসিয়ে পুজো শুরু হোক। তাহলে এই এলাকার গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। পর্যটকদেরও এই মন্দিরের প্রতি আকর্ষণ বাড়বে।

bankim chandra chatterjee West Bengal Temple Kapalkundala Temple
Advertisment