যুবকের আলাউদ্দিন শেখের পায়ুদ্বারে থেকে ১৪ ইঞ্চির একটা টর্চ সফল অস্ত্রপচার করে বের করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার। চিকিৎসক তাপস সরকার শনিবার বলেন , 'যুবক এখন বিপদ মুক্ত। সে সুস্থও রয়েছে। তবে দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে এই প্রথম এমন অদ্ভুত ঘটনার জন্য আমাকে ওটিতে গিয়ে ছুরি-কাঁচি হাতে তুলে নিতে হয়েছে।'
অস্ত্রোপচার হওয়া বছর ২৪-য়ের যুবক আলাউদ্দিন শেখের বাড়ি কাটোয়া থানার গীধগ্রামে। যুবক বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। ভিন রাজ্যে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন আলাউদ্দিন। বেশ কয়েক মাস হল সে গীধগ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন। আলাউদ্দিনের মা নাজিবা বিবি এদিন বলেন, 'শুক্রবার দুপুরে তিনি পুত্রবধূকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর ছেলে বাড়িতে একাই ছিল। সন্ধ্যায় ছেলে আলাউদ্দিন জানায় ,তার পায়ুদ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই সে কাটোয়া হাসপাতালে যাবে। এরপর আলাউদ্দিন একাই হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। রাতে জানতে পারি ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওর পায়ুদ্বারে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে আলাউদ্দিন শেখ নামে ওই যুবক শুক্রবার সন্ধ্যার মুখে হাসপাতালের জরুরীবিভাগে আসে। শারীরিক সমস্যার কথা চিকিৎসকরা ওই যুবকের কাছে জানতে চায়। তখন সে নিজের পায়ুদ্বারের দিকে ইশারা করে দেখিয়ে জানায়, সে ঘরে ঘুমাচ্ছিল। তখন 'শয়তান' নাকি তার পায়ুদ্বারের টর্চ ঢুকিয়ে দিয়েছে। যুবক এমন অদ্ভুত গল্প কথা শোনালেও চিকিৎসকদের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। তবুও যুবক আলাউদ্দিনকে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে চিকিৎসকরা আর কথা না বাড়িয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। পরে তাঁকে হাসপাতালের ওটিতে ঢোকানো হয়। হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক তাপস সরকার প্রায় আধ ঘন্টার অপারেশনে যুবকের পায়ুদ্বারথেকে ১৪ সেন্টিমিটারের একটি টর্চ বের করেন।
অপারেশনের পর আলাউদ্দিন সুস্থ। পরে চিকিৎসকদের প্রশ্নের উত্তরে আলাউদ্দিন জানান, ঘুমের ঘোরে তিনি খাট থেকে পড়ে যান। তখন খাটের নিচে মেঝেতে পড়ে থাকা টর্চ বেকায়দায় তার পায়ূদ্বারে ঢুকে যায়। লজ্জায়
সেই কথা বলতে না পেরে সে 'শয়তান'কথা বলেছিল। আলাউদ্দিনের এই স্বীকারোক্তি শুনে হাসপাতালে থাকা অন্য চিকিৎসক , নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান।