তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকে সরব কৌস্তভ বাগচি। তবে কংগ্রেসে থেকেই সেই লড়াই চালাচ্ছেন এই আইনজীবী নেতা। প্রতিবাদের মাসুলও গুনেছেন। তারপরও হাত ধরে রয়েছেন কৌস্তভ। বিজেপিতে গিয়ে কী তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে কথা ভাবছেন তিনি? খোলসা করেননি। কিন্তু, এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল কৌস্তভ বাগচির মুখে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে ভূমিকাগত তুলনা টানলেন নিজের দলের প্রবীণ নেতার সঙ্গে। 'বিকল্প রাজনীতি'র কথা বলে উস্কে দিলেন নয়া জল্পনা।
'শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন'
'তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমার কাছে শুভেন্দু অধিকারী অচ্ছুৎ নন। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসাবে ওনার পারফরমেন্স ছোট করা যাবে না। অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। এমনকী আমি তো বলি যে, বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই শেখা উচিত' উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ও কৌস্তভ বাগচিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ের কোনও মঞ্চে একসঙ্গে থাকতেও আপত্তি নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা।
তুলনায় কাকে নিশানা?
'২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর কংগ্রেস বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল ছিল। আমার দলের একজন কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনও সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেইভাবে দেখা যায়নি। শুধু বড় বড় কথা শোনা যেত। অন্যদিকে বর্তমান বিরোধী দলনেতা অত্যন্ত ভোকাল। বিরোধী নেতা হিসাবে মানুষ শুভেন্দুবাবুকে দেখতে পান। ঠিক-ভুল নিয়ে আমার মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ জানে কে বিরোধী দলনেতা।'
অর্থাৎ নাম না করে আব্দুল মান্নারকেই আক্রম শানিয়েছেন কৌস্তভ। কেন হঠাৎ নিজের দলের নেতাকেই কটাক্ষ করলেন তিনি? তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব কৌস্তভ বাগচি। হাই-কমান্ড থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন তিনি। তারপরই সংগঠন থেকে পদ গিয়েছে তাঁর। কৌস্তভের অতি সোচ্চার হওয়া নিয়ে সমালোচনা উড়ে এসেছিল মান্নানের তরফে। মনে করা হচ্ছে এদিন তারই পাল্টা দিয়েলেন কৌস্তভ।
'বিকল্প রাজনীতি'
'বার বার বলছি, তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে হলে বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। শুভেন্দু অধিকারী মাঝে মধ্যে যেসব মন্তব্য করেন তাতে ইঙ্গিত পাচ্ছি যে উনি বিজেপিতে থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সবটা করতে পারছেন না। তাই বিকল্প রাজনীতিটা খুবই দরকার।'
তাহলে কী শুভেন্দু-কৌস্তভ-কে অচিরেই তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে একসঙ্গে দেখা যাবে? কংগ্রেস নেতার ইঙ্গিতবাহী জবাব, 'রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।'
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচির প্রশংসা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমি গত একবছর ধরে বলে আসছি, যে কয়েকজন এ রাজ্যে পতাকা নিরপেক্ষভাবে পিসি-ভাইপোর হাত থেকে বাংলার মানুষকে নিষ্কৃতি দিতে চাইছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ একজন। উনি নিজের শ্রী বৃদ্ধির কথা ভাবেননি। এটা তো ওনার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে থেকে ভাল কাজ।'
পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে উৎখাতে বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছেন কৌস্তভ। যা নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, 'এটা ওনার নিজস্ব বিষয়। আমি একটি দলের অনুগত সৈনিক। তাই এ নিয়ে আমি কিছু বলবো না। তবে বাংলায় তৃণমূলের স্বাভাবিক বিকল্প বিজেপি। এখানে বাইনারি পলিটিক্স পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে।'
কৌস্তভের কথা মত বিজেপিতে থেকে কী সত্যিই শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে পাচ্ছেন না? বিরোধী দলনেতার জবাব, 'কৌস্তভ বাগচির সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাহলে আমার অস্বস্তির কথা উনি কীভাবে বুঝলেন? আমি স্বস্তিতেই রয়েছি।'
শুভেন্দুর ভূয়সী প্রশংসায় কংগ্রেসের কৌস্তভ! 'বিকল্প রাজনীতি' মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত?
আসলে কী চাইছেন কৌস্তভ বাগচি?
Follow Us
তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকে সরব কৌস্তভ বাগচি। তবে কংগ্রেসে থেকেই সেই লড়াই চালাচ্ছেন এই আইনজীবী নেতা। প্রতিবাদের মাসুলও গুনেছেন। তারপরও হাত ধরে রয়েছেন কৌস্তভ। বিজেপিতে গিয়ে কী তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে কথা ভাবছেন তিনি? খোলসা করেননি। কিন্তু, এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল কৌস্তভ বাগচির মুখে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে ভূমিকাগত তুলনা টানলেন নিজের দলের প্রবীণ নেতার সঙ্গে। 'বিকল্প রাজনীতি'র কথা বলে উস্কে দিলেন নয়া জল্পনা।
'শুভেন্দু অচ্ছুৎ নন'
'তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমার কাছে শুভেন্দু অধিকারী অচ্ছুৎ নন। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসাবে ওনার পারফরমেন্স ছোট করা যাবে না। অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। এমনকী আমি তো বলি যে, বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেই শেখা উচিত' উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ও কৌস্তভ বাগচিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ের কোনও মঞ্চে একসঙ্গে থাকতেও আপত্তি নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা।
তুলনায় কাকে নিশানা?
'২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর কংগ্রেস বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল ছিল। আমার দলের একজন কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনও সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেইভাবে দেখা যায়নি। শুধু বড় বড় কথা শোনা যেত। অন্যদিকে বর্তমান বিরোধী দলনেতা অত্যন্ত ভোকাল। বিরোধী নেতা হিসাবে মানুষ শুভেন্দুবাবুকে দেখতে পান। ঠিক-ভুল নিয়ে আমার মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ জানে কে বিরোধী দলনেতা।'
অর্থাৎ নাম না করে আব্দুল মান্নারকেই আক্রম শানিয়েছেন কৌস্তভ। কেন হঠাৎ নিজের দলের নেতাকেই কটাক্ষ করলেন তিনি? তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব কৌস্তভ বাগচি। হাই-কমান্ড থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন তিনি। তারপরই সংগঠন থেকে পদ গিয়েছে তাঁর। কৌস্তভের অতি সোচ্চার হওয়া নিয়ে সমালোচনা উড়ে এসেছিল মান্নানের তরফে। মনে করা হচ্ছে এদিন তারই পাল্টা দিয়েলেন কৌস্তভ।
'বিকল্প রাজনীতি'
'বার বার বলছি, তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে হলে বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। শুভেন্দু অধিকারী মাঝে মধ্যে যেসব মন্তব্য করেন তাতে ইঙ্গিত পাচ্ছি যে উনি বিজেপিতে থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সবটা করতে পারছেন না। তাই বিকল্প রাজনীতিটা খুবই দরকার।'
তাহলে কী শুভেন্দু-কৌস্তভ-কে অচিরেই তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে একসঙ্গে দেখা যাবে? কংগ্রেস নেতার ইঙ্গিতবাহী জবাব, 'রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।'
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?
কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচির প্রশংসা সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমি গত একবছর ধরে বলে আসছি, যে কয়েকজন এ রাজ্যে পতাকা নিরপেক্ষভাবে পিসি-ভাইপোর হাত থেকে বাংলার মানুষকে নিষ্কৃতি দিতে চাইছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ একজন। উনি নিজের শ্রী বৃদ্ধির কথা ভাবেননি। এটা তো ওনার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্যে থেকে ভাল কাজ।'
পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে উৎখাতে বিকল্প রাজনীতির কথা বলেছেন কৌস্তভ। যা নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, 'এটা ওনার নিজস্ব বিষয়। আমি একটি দলের অনুগত সৈনিক। তাই এ নিয়ে আমি কিছু বলবো না। তবে বাংলায় তৃণমূলের স্বাভাবিক বিকল্প বিজেপি। এখানে বাইনারি পলিটিক্স পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে।'
কৌস্তভের কথা মত বিজেপিতে থেকে কী সত্যিই শুভেন্দু তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে পাচ্ছেন না? বিরোধী দলনেতার জবাব, 'কৌস্তভ বাগচির সঙ্গে আমার কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাহলে আমার অস্বস্তির কথা উনি কীভাবে বুঝলেন? আমি স্বস্তিতেই রয়েছি।'