/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/Jadapur-University-Kazi-Sadek-Hossain.jpg)
ছবির বাঁদিকে ধৃত কাজি সাদেক হোসেন, ডানদিকে গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনাবাহিনীর পোশাকে ঢুকে পরা তরুণ-তরুণীরা।
অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নকল সেনা পাঠিয়ে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। মূল অভিযুক্ত কাজি সাদেক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক। কেন তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনার পোশাকে একদল তরুণ-তরুণীকে পাঠালেন? বিষয়টি নিয়ে এখনও ঘোরতর ধোঁয়াশা রয়েছে। ধৃতকে জেরায় তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার হঠাৎই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পরা ১০-২০ জন তরুণ-তরুণী ঢুকে পড়েন। সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এই তরুণ-তরুণীদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলে। কেন তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকেছেন, সেব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সদুত্তর মেলেনি। তবে নিজেদের এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- কালীঘাট টু জলসা ভায়া মুম্বই বিমানবন্দর, জয়ার নিমন্ত্রণে বিগ-‘বি’র বাড়ি যাচ্ছেন মমতা
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে যাদবপুর থানার পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। সেনাবাহিনীর পোশাক পরেকারা এবং কোন উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকলেন তা জানতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। তদন্তে নেমে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির কলকাতার একটি ঠিকানার খোঁজ পায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে অফিসের হদিশ মেলেনি। যদিও সংস্থার সম্পাদক কাজি সাদেক হোসেনের নাম পায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- তারাপীঠে নয়া নিয়ম, জানুন মা তারা’র কাছে পুজো দেওয়ার আগে
এরপরেই সাদেক হোসেন নামে ওই ব্যক্তিকে তলব করে নোটিশ পাঠায় যাদবপুর থানার পুলিশ। তবে পুলিশের সেই তলবে থানায় যাননি সাদেক। শেষমেশ কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় কাজি সাদেক হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।