আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিরোধী জোটের বার্তা নিয়ে কলকাতায় আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার শহরে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা আছে। সেই মতো দুপুর তিনটেয় (মঙ্গলবার) রাজ্য প্রশাসনের সদর কার্যালয় নবান্নে আসার কথা কেজরিওয়ালের। এই নবান্নেই কেজরিওয়ালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রয়েছে।
এর আগে নানা সময় লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রাজ্যে এসেছেন একের পর এক বিরোধী দলের সর্বভারতীয় নেতা। নবান্ন গিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। জেডিএসের কুমারস্বামী থেকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সংযুক্ত জনতা দলের নীতীশ কুমার থেকে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তেজস্বী যাদবদের নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। সেই সব বৈঠক শেষে তাঁরা সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হয়েছেন। সেই তালিকায় এবার জুড়তে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নাম।
গত শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে দিল্লির পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষমতা এবং আমলাদের নিয়োগ ও বদলির দায়িত্ব অর্ডিন্যান্স জারি করে লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে দিয়েছে মোদী সরকার। বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আপ সরকার। যারা বারবার নানাভাবে বিজেপি তথা কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার অভিযোগ করে চলেছে। পাশাপাশি, নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলোকে কার্যত নখদন্তহীন করে রাখার জন্য বিজেপির ভূমিকার তীব্র নিন্দাও করছে।
আরও পড়ুন- তৃণমূল কংগ্রেস কার? কেন মমতা-অভিষেককে তোপ দাগলেন মদন মিত্র?
শুধু আপই নয়। অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর আশঙ্কা, কেন্দ্রে বিজেপির সরকার থাকলে এখন যেমন দিল্লির নির্বাচিত সরকারকে কার্যত অক্ষম করে রাখা হচ্ছে। তেমন অবস্থা হবে অন্যান্য বিরোধীদল শাসিত রাজ্যগুলোরও। সেই কথা মাথায় রেখেই বিরোধী দলগুলো লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট বাঁধতে চাইছে। যাতে তারা পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে শরিক হিসেবে পেতে চায়। সেই কথাই নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেজরিওয়ালের বৈঠকে উঠে আসবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।