Advertisment

বাঘের হানায় স্বামীহারা, খাদিই এখন সুন্দরবনের এই মহিলাদের রুজি-রুটি

রং করার মেশিন থেকে তাঁত কল, দেওয়া হয়েছে সব সুবিধাই

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

খাদি শিল্পের উন্নয়নে মহিলাদের আর্থিক সংস্থান সুন্দরবনে

সুন্দরবনের খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প নিয়ে বহুদিন ভাবনা চিন্তা করে পর এবার আসলেই তার মাধ্যমে অর্থ রোজগারের পথ খুঁজে পেয়েছেন মহিলারা। বাঘের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন এলাকার বহু মানুষ বিশেষ করে তাদের স্ত্রীদের আর্থিক সুবিধা দিতেই সরকারের পক্ষ থেকে এই কর্মকাণ্ডকে নয়া রূপ দেওয়া হয়েছে। 

Advertisment

২০১৮ সাল থেকে খাদি এবং গ্রামীণ শিল্প কমিশনের উদ্যোগ নেওয়ার পর থেকেই নতুন স্থান পেয়েছে পরিত্যক্ত এই দ্বীপ। স্বাধীনতা আদায়ের পরেও বাণিজ্যের মূলধারা থেকেও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ছিল, তবে বর্তমানের তাঁতের ঘূর্ণন এবং চরকার শব্দে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই স্থান। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখানকার মহিলারা কমিশনের সহযোগিতায় স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহের সুযোগ পেয়েছেন। 

খাদি এবাং গ্রামীণ শিল্পের তরফে বছর তিনেক আগে এক অস্থায়ী কাঠামো স্থাপন করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে এটিকে বালি দ্বীপে স্থানান্তরিত করা হয়েছে, কারিগরদের জন্য বানানো হয়েছে ৩০০০ স্কোয়ার ফিটের এক ওয়ারক শেড এবং ৫০০ বর্গফুটের সাধারণ সুবিধা প্রাপ্ত এক স্থায়ী কাঠামো। কমিশনের চেয়ারম্যান বিনাই কুমার সক্সেনা উদ্বোধন করেছেন এই জায়গাটি। 

publive-image

টাইগার ভিকটিম খাদি কাটাই কেন্দ্র নামে পরিচিত এই জায়গাটি। নতুন মডেলের ১২৫ টি চরকা, ১৫ টি আধুনিক তাঁত কল এবং দ্বীপে ১৫০ জন মহিলা কারিগর সানন্দে এখানে কাজ করছেন। শুধু তাই নয় সুবিদার্থে কারিগরদের সুতা রং করার মেশিন এবং পোশাক তৈরির মেশিন সরবরাহ করা হয়েছে। KVIC এর খাদি সংস্কার ও উন্নয়ন কর্মসূচি এবং খাদি কারিগরদের ওয়ারকশেড প্রকল্পের অধীনে ৯৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে আধুনিকীকরণের স্বার্থে। স্থানীয়ভাবে রাজ্যের একটি খাদি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালনা করা হয়েছে। 

এই কার্যক্রম অসহায় নারী কারিগরদের পুনর্বাসনে যেমন সহায়তা করবে তেমনই অন্যান্য পরিবারদের জীবিকা নির্বাহের জন্য চরকা এবং তাঁত শিল্পের নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করতে উৎসাহিত করবে। এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কারিগররা দিনে ২০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

Sundarban
Advertisment