করোনার থাবায় থানায় যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হয়েছে। রীতিমত তালা বন্ধ করে দিতে হল আস্ত একটা থানা। সেই থানার কাজ চালু রাখার জন্য পাশে একটি বিকল্প ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। কোভিডে মৃত্যু হয়েছে উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে কনস্টেবলের। এদিকে জেলা পুলিশেও নিত্য বাড়ছে করেনা আক্রান্তের সংখ্যা।
রিপোর্ট অনুযায়ী পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ৭৮ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ১৬ জনই খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী। সেখানে কাজ শিকেয় উঠেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে তালা বন্ধ করতে হল খণ্ডঘোষ থানা।
সদর সিআই সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, "খন্ডঘোষ থানার পুলিশ অফিসার থেকে কর্মীরা একের পর এক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে ১৬ আক্রান্ত। তাই থনা তালা বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশে একটা বিয়ে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে অসুবিধায় না পড়ে তাই সেখানেই অস্থায়ীভাবে থানার কাজ চলছে।"
পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদেরও করোনার থাবা থেকে রেহাই মিলছে না । জানা গিয়েছে খন্ডগোষ থানার আক্রান্তদের মধ্যে অফিসার ইন-চার্জ রয়েছেন । ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে খণ্ডঘোষ থানার ১৬জন পুলিশ কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পরেই থানা ভবনে যাবতীয় প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। জনা গেয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জনের করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমানের কোভিড হাসপাতালে। অন্যদিকে, দেড় মাসের ব্যবধানে থানার ওসি দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। বাকি আক্রান্ত পুলিশ কর্মীদের ‘হোম আইসোলেশনে’ পাঠানো হয়। এরপর রাত থেকেই তালা পড়ে যায় খণ্ডঘোষ থানার গেটে।
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, তিন দিনের মধ্যে খণ্ডঘোষ থানা ভবন জীবাণু মুক্ত করা হবে। আপাতত ভাড়া বাড়িতে চলবে থানার প্রশাসনিক কাজ। এর আগে মেমারির থানার অধীন পালসিট ফাঁড়ি বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেখানে ৯জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই প্রথম রাজ্যে করেনার কারণে কোনও থানায় তালা পড়ল। থানা তালা বন্ধ দেখে স্থানীয়রা প্রথমে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন