খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগেই তুমুল উত্তেজনা। বিজেপির মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল। হেঁড়িয়ার সভায় পৌঁছানোর জন্য বিজেপি কর্মীরা যখন মিছিল করে যাচ্ছিলেন তখনই বড়তলা এলাকায় গেরুয়া কর্মী, সমর্থকদের লক্ষ্য করে হামলার অভিযোগ উঠেছে। চলে ইট ছোড়াছুড়ির ঘটনাও। গাড়ি ভাঙচুর হয় দক্ষিণ কাঁথির মাজনাতে। এতে আহত হয়েছে দলের মণ্ডল সভাপতি সহ দলীয় কর্মীরা। হামলাকারীরা তৃণমূল বলে দাবি গেরুয়া দলের স্থানীয় নেতৃত্বের।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই হামলার জেরে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক জখম হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
খেজুরিতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই সংঘর্ষের প্রসঙ্গে টানেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘আজ সভায় আসার পথে পাঁচ জায়গায় দলের ছেলেরা মার খেয়েছে। ছাড়র কোনও জায়গা নেই। রবিবার পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনকে সময় দিচ্ছি। না হলে তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বলে থাকব।’
সোমবার কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারী-দিলীপ ঘোষদের ব়্যালিতেও হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের হামলার ঘটনা পূর্ব মেদিনীপুরে। এর প্রতিবাদে এদিন রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'বাংলায় নিয়ম করে সব নেতাদের সভাতেই হামলার ঘটনা লেগে রয়েছে। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না। সব জানালাম রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে। তিনি সব দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।'
তাহলে কী বিজেপির তরফে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োদের দাবি করা হবে? জবাবে মুকুল রায় বলেন, '৩৫৬ ধারা কীভাবে বলবৎ হবে রাজ্যবাসী তার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।'
প্রতিবাদে হেঁড়িয়ার বড়তলা ও কাঁথিতে পথ অবরোধ করেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন