New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/belur-math-759.jpg)
শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর রেজিস্টার জমা পড়েছিল স্থানীয় কাশীপুর থানায়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল, কণ্ঠনালিতে আলসার। অনেক পরে ওই নথি অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণ করে কলকাতা পুরসভা।
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ডেথ রেজিস্টারের রেপ্লিকা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিল কলকাতা পুরসভা।
১৮৮৬ সালের ১৫ অগস্ট (৩১ শ্রাবণ, ১২৯৩ বঙ্গাব্দ) ৫২ বছর বয়সে ৪৯, কাশীপুর রোডের ঠিকানায় প্রয়াত হন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। এখন যেমন মৃত্যুর বিশদ বিবরণ শ্মশানেই নথিবদ্ধ করতে হয়, তখন তা হতো না। মৃতের নাম, মৃত্যুর কারণ-সহ যাবতীয় তথ্য নথিবদ্ধ করা হত স্থানীয় থানায়। শ্রীরামকৃষ্ণের মৃত্যুর ডেথ রেজিস্টারও তাই জমা পড়েছিল স্থানীয় কাশীপুর থানায়। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল, কণ্ঠনালিতে আলসার। অনেক পরে ওই নথি অধিগ্রহণ করে সংরক্ষণ করে কলকাতা পুরসভা। তারপর থেকে পুরসভার হেফাজতেই রয়েছে ১৩৫ বছরের পুরনো ওই ডেথ রেজিস্টার।
সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের কর্তৃপক্ষ একটি আর্কাইভ তৈরির উদ্দেশ্যে পুরসভার কাছে ওই নথি চান। কিন্তু পুরসভা ডেথ রেজিস্টারটি দিতে পারে নি, কারণ তাতে শ্রীরামকৃষ্ণ ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর বিশদ তথ্য সম্বলিত নথি ছিল। সম্প্রতি পুরসভা ওই ডেথ রেজিস্টারের একটি প্রতিরূপ বা রেপ্লিকা তৈরি করেছে। আজ বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের হাতে সেটি তুলে দিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
এদিন অতীনবাবু বলেন, "বেলুড় মঠের কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে ঠাকুরের ডেথ রেজিস্টার চাওয়ার পরেই আমরা রেপ্লিকা তৈরি করতে উদ্যোগী হই। ওঁদের হাতে এই রেপ্লিকা তুলে দিয়ে পুরসভাও ধন্য হবে।" তিনি জানান, এই প্রথম কোনও ডেথ রেজিস্টারের রেপ্লিকা তৈরি হল।