Advertisment

পরিবেশ আদালতে ধাক্কা খেয়ে ছটপুজো ইস্যুতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার

বৃহস্পতিবারই পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছটপুজো

রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA)। বৃহস্পতিবারই পরিবেশ আদালত বা ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল এবছর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে ট্রাইব্যুনাল।

Advertisment

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে আমরা পরিবেশ আদালতের কাছে একদিনের জন্য সরোবরে ছটপুজো করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাব। ছটপুজো করার অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না।"

আরও পড়ুন চালু ‘মমতার মমতা’ ক্যান্টিন, সস্তায় ভোজন

প্রসঙ্গত, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। একুশের লক্ষ্যে হিন্দুবিরোধী তকমা ঘোচাতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে ছটপুজো করতে দিতে চায় সরকার। কিন্তু গত দু'বছর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরোবরে ঢুকে ছটপুজো করেন ভক্তরা। আদালতে কেএমডিএ এটাও জানিয়েছে যে, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে না দেওয়া হলে হাজার হাজার পূণ্যার্থী গেট ভেঙে ঢুকে পড়বেন। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। গতবছরও সেই চিত্র দেখা গিয়েছিল। পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, "এটা রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই না। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও আইন ভাঙছে রাজ্য সরকার। আমাদের মতো পরিবেশপ্রেমীরা ট্রাইব্যুনালের রায়ে খুশি।"

আরও পড়ুন মহালয়ায় মানবসেবার সূচনা, ‘লোকহিতে’ মানবিক উদ্যোগ কলকাতার পুজো কমিটির

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সরকারের বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, "পরিবেশ আদালতে আগেই সরকারকে জানিয়েছিল ছটপুজোর জন্য বিকল্প জায়গা বের করতে। কিন্তু তা না করে আদালত অবমাননা করছে সরকার। ছটপুজোর নামে সরকারের এই মেরুকরণের রাজনীতির তীব্র নিন্দা করছি। ভোট যত এগিয়ে আসছে, হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করতে অবাঙালি ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।"

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

supreme court
Advertisment