Advertisment

East Indian Railway: এখন তো ফেয়ারলি প্লেস, ব্রিটিশ ভারতে রেলের সদর দফতরের ঠিকানা জানলে তাজ্জব হবেন!

Eastern Railway-Fairley Place: ব্রিটিশ আমলে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস এই ফেয়ারলি প্লেসে হয়। এই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়েই পরবর্তীকালে ইস্টার্ন রেলওয়ে বা পূর্ব রেলওয়ে হিসেবে জনসাধারণের কাছে পরিচিতি লাভ করে। বিশেষ এই প্রতিবেদনে দেশে ব্রিটিশ শাসনের সময় কলকাতায় রেলের কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ কিছু অবাক করা তথ্য মিলবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
know before Fairley Place in which place headquarters of the East Indian Railway located, ব্রিটিশ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সদর দফতর কোথায় ছিল

Fairley Place: পূর্ব রেলের সদর দফতর ফেয়ারলি প্লেস।

East Indian Railway: পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল? এব্যাপারে এবার রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে নেপথ্যের ইতিহাস জানাল রেল। ফিরে এল ব্রিটিশ জামানার নানা কাহিনী। পূর্ব রেলের সদর দফতরের স্থানান্তকরণের সেই ইতিহাস অনেকেরই অজানা। সোনালী সেই ইতিহাস জানালে বিবৃতি রেলের।

Advertisment

পূর্ব রেলের বিবৃতি:

আপনি কি জানেন পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কোথায় ছিল? ফেয়ারলি প্লেসে পূর্ব রেলের বড় বাড়িটা চেনেন না এরকম বাঙালি বোধহয় খুব কমই আছেন। ঔপনিবেশিক যুগ থেকে পূর্বরেলের সদর দফতর হিসেবে পরিচিত এই ভবনটি আজও ব্রিটিশ স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে সমাদৃত। তবে পূর্ব রেলের সদর দফতর আগে কিন্তু এই ভবনটিতে ছিল না। ১৮৭৯ সালে তৎকালীন ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের অফিস এই ফেয়ারলি প্লেসে স্থানান্তরিত হয়। এই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়েই পরবর্তীকালে ইস্টার্ন রেলওয়ে বা পূর্ব রেলওয়ে হিসেবে জনসাধারণের কাছে পরিচিত হয়। এই নুতন ভবনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে থিয়েটার রোডের একটি ভবন থেকে পূর্ব রেলওয়ের সদর দফতরের কার্যকলাপ পরিচালনা করা হত।

এই ফেয়ারলি প্লেস অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন মানচিত্রে অবস্থিতি ১৭৯৪ সালে পাওয়া যায় , সেই মানচিত্রে এখানে একটি নামবিহীন রাস্তার অস্তিত্ব আছে যা পুরোনো কেল্লার ঘাটকে সংযুক্ত করে। ১৭৭৩ সালে ফোর্ট উইলিয়াম স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গেই তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বর্তমান রাইটার্স বিল্ডিংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত এই পুরোনো কেল্লাটি ছেড়ে দেয়।

আরও পড়ুন- Howrah Division: হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীরা এখবর আগে পড়ুন! বাম্পার উদ্যোগে বেনজির কীর্তির শিখর ছুঁল রেল

এই ফোর্টের বা কেল্লার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটি সেই সময় ফেয়ারলি প্লেস নামে পরিচিত হয়। এই ফেয়ারলি প্লেসের নামকরণ ফেয়ারলি, গিলমোন এন্ড কোম্পানির এক স্বনামধন্য ব্যবসায়ী উইলিয়াম ফেয়ারলি-র নামানুসারে করা হয়েছে। এই ব্যবসায়িক সংগঠনটি লর্ড ওয়েলেসলির সময়কালে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির সেনাবিভাগের হাতি এবং উটগুলির খাদ্য সরবরাহ করতো।

আরও পড়ুন- Sealdah Division: শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীরা এখবর এখনই পড়ুন! দুরন্ত দক্ষতায় দারুণ তৎপরতা রেলের

ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে দ্বারা ফেয়ারলি প্লেসের সদর দফতরের এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করার আগে কলকাতার জাতীয় জাদুঘর (ন্যাশনাল মিউজিয়াম, কলকাতা) এই ভবনটিতে কিছু সময়ের জন্য অবস্থিত ছিল। ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের এই ভবনটিকে অধিগ্রহণ করে এখানে একটি বুকিং অফিস খোলে যা ফেয়ারলি প্লেস বুকিং অফিস হিসেবে পরিচিত হয়। কিছু বছর পরে ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এই ভবনের লাগোয়া এক বিশাল অঞ্চল অধিগ্রহণ করে এবং এখানে ধীরে ধীরে বর্তমান বড় ভবনটি নির্মাণ করা হয় যার মূল প্রবেশদ্বার অধুনা রাইটার্স বিল্ডিংয়ের দিকে অবস্থিত।

আরও পড়ুন- Mob Lynchings in Bengal: শিশু-মোবাইল চোর সন্দেহে পাশবিক হিংস্রতায় মৃত্যু-মিছিল! বাংলায় কীভাবে গড়াল গুজবের স্রোত?

তখন থেকেই ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সদর দপ্তর এবং তার উত্তরসূরি পূর্বরেলের সদর দফতর হিসেবে এই ভবনটিকেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন অবশ্য ফেয়ারলি প্লেস বলতে এর সংশ্লিষ্ট রাস্তাটি নয়, বরং এই ভবনটিই জনমানসে পরিচিত।

British kolkata news indian railway East Indian Railway Fairly Place Eastern Railway
Advertisment