Advertisment

Howrah Bridge: হাওড়া ব্রিজ নিয়ে চোখ কপালে তোলা কয়েকটি তথ্য! অধিকাংশ বাঙালিই সম্ভবত জানেন না!

Howrah Bridge History: আজকের এই হাওড়া সেতু বা হাওড়া ব্রিজ চালু হয়েছিল ১৯৪৩ সালে। তবে এর আগেও এই একই জায়গায় আরও একটি ব্রিজ ছিল। যেটি হাওড়া এবং কলকাতা এই দুই যমজ শহরকে সংযুক্ত করেছিল। ১৯৬৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামানুযায়ী এই সেতুর নামকরণ করা হয় রবীন্দ্র সেতু। এই রবীন্দ্র সেতু কিংবা হাওড়া ব্রিজ নিয়ে অবাক করে দেওয়া কয়েকটি তথ্য মিলবে এই প্রতিবেদনে। যেগুলি জানলে তাজ্জব না হয়ে পারবেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Know some important facts about Howrah Bridge

Howrah Bridge: কলকাতার গর্ব হাওড়া ব্রিজ।

Howrah Bridge: কলকাতার (Kolkata) অন্যতম দর্শনীয় স্থান হওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)। আদি কলকাতার স্বাদ নিতে গেলে হাওড়া ব্রিজ চত্বরে একবার ঢুঁ মারতেই হবে। শুধু কলকাতা বললে অবশ্য ভুল হবে, পশ্চিমবঙ্গের নাম এলেই হাওড়া ব্রিজের নাম ওপরের সারিতেই থাকে। এই ব্রিজের উপরে উঠে হাওড়া ও কলকাতার দিকে হুগলি নদীর নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগের সুযোগ মেলে। ৮০ বছর পেরোলেও এই ব্রিজ দেশের অন্যতম একটি স্থাপত্য। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজটি। আজও একইরকমভাবে দাঁড়িয়ে আছে গর্বের হাওড়া ব্রিজ। এই ব্রিজ নিয়ে অবাক করা কয়েকটি তথ্য জেনে নিন।

Advertisment

১. নাট বোল্ট ছাড়াই তৈরি হাওড়া ব্রিজ

হাওড়া ব্রিজে কোনও নাট বোল্ট ব্যবহার করা হয়নি। মেটাল প্লেটগুলিকে এমনভাবে চেপে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও নাট বোল্ট বা স্ক্রু ছাড়াই সুবিশাল এই ব্রিজটি দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।

২. নজরকাড়া অভিনবত্ব

১৮৭৪ সালে তৈরি হয় প্রথম এই হাওড়া ব্রিজ। তখন কাঠের এই ব্রিজ দিয়ে কাজ চলচিল। তবে হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বাড়তেই দুর্বল কাঠের ব্রিজে আর কাজ চলত না। ১৯২২ সালে পাকাপাকিভাবে ২৬,৫০০ টন স্টিল দিয় তৈরি হয় এই হাওড়া ব্রিজ। ইংরেজ সাহেবদের লক্ষ্য ছিল, এমনভাবে ব্রিজটি তৈরি করতে হবে যাতে এই ব্রিজের নীচের অংশে কোনও পিলার না থাকে। যাতে গঙ্গা দিয়ে ভেসে যাওয়া জাহাজ বা নৌকা চলাচলের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না হয়। ব্রিজের শুরু ও শেষে চারটি করে পিলার থাকলেও মাঝে সেই কারণেই কোনও পিলার নেই। এই ব্রিজটি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।

৩. পুরনো ব্রিজ

নতুন হাওড়া ব্রিজের বয়স সাত দশকেরও বেশি। তবে এই জাগায় আগে আরও একটা ব্রিজ ছিল, যার নম পন্টন ব্রিজ। ওই ব্রিজটি তৈরি হয় ১৮৭৪ সালে। তবে সেই ব্রিজটির ধারণ ক্ষমতা বেশি ছিল না। সেই কারণেই নতুন ব্রিজ বানানোর প্রয়োজন পড়ে।

৪. নতুন হওড়া ব্রিজ

কলকাতার জনসংখ্যা বাড়ছিল। মহানগরীতে ব্যবসা-বাণিজ্য-অফিস কাছারিও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করছিল। অন্যদিকে হাওড়াতেও একের পর এক শিল্পের রমরমা কারবারের দরুণ লোকজনের সংখ্যা, গাড়ি চলাচলও বাড়ছিল। গঙ্গাপাড়ের একদিকের হাওড়া ও অন্যদিকে কলকতাা শহরকে জুড়ে দেওয়ার তাগিদও বেড়েই চলেছিল। হাওড়া স্টেশন তৈরির পর সেই প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। তাই নতুন ব্রিজের পরিকল্পনা হয়।

৩. হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে টাটার অবদান

ইংরেজ আলে কাঁচামাল-সহ সব জিনিসই জাহাজে চাপিয়ে ভারতে আনা হত। ব্রিজের সরঞ্জাম ইংল্যান্ড থেকে কলকাতায় আনা হতো। ২৬ হাজার টন স্টিল আসার কথা ছিল ইংল্যান্ড থেকে। তবে শেষমেশ এসে পৌঁছোয় মাত্র ৩ হাজার টন স্টিল। বাকি ২৩ হাজার টন স্টিল সরবরাহ করেছিল ভারতীয় ইস্পাত ব্যবসায়ী টাটা গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন- Travel: ঢের হয়েছে দিঘা-মন্দারমণি! ঢুঁ মারুন কলকাতার খুব কাছে অপূর্ব এই সমুদ্র পাড়ে

৪. প্রতিদিন দুপুর ও রাত ১২টায় বন্ধ থাকে হাওড়া ব্রিজ

এই ব্রিজ তৈরির সময় নাকি এক ইঞ্জিনিয়র বলেছিলেন এই ব্রিজ ১২টার সময় ভেঙে পড়বে। তবে রাত না দপুর ১২টা তা তিনি বলেননি। এই বিষয়ে কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও মেলেনি। তবে সেই দিন থেকে দুপুর ও রাত ১২টায় ব্রিজটি ৪ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

আরও পড়ুন- AC Machine: সাধের AC নিয়েই মারাত্মক আশঙ্কা! দিনে-দিনে কী বিপদ ডাকছেন জানেন?

৫. ট্রাম চলাচল

হাওড়া ব্রিজে প্রতিদিন লক্ষ্য-লক্ষ চলাচল করেন। ব্রিজ তৈরির পর কলকাতা ও হাওড়ার দিক থেকে ট্রাম চলত হাওড়া ব্রিজ দিয়ে। পরবর্তী সময়ে ট্রাফিকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৯৯৩ সালে হাওড়া ব্রিজ দিয়ে ট্রাম চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

৬. হাওড়া ব্রিজের রেকর্ড

তৈরির সময় এটি বিশ্বের তৃতীয় দীর্ঘতম ব্রিজ ছিল। তবে বর্তমানে এটি বিশ্বের ষষ্ঠ দীর্ঘতম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ। এই ব্রিজ ৭০৫ মিটার লম্বা ও চওড়ায় ৭১ ফুট। এই ব্রিজের দু'পাশে পথচারীদের জন্য ১৪ ফুট চওড়া ফুটপাত রয়েছে।

Howrah kolkata news Howrah Bridge
Advertisment