New Update
Election Commission Removed IPS Rajeev Kumar From DG Post: আইপিএস রাজীব কুমার। গত ডিসেম্বরেই তাঁকে রাজ্য পুলিশের অস্থায়ী ডিজি পদে নিয়োগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রে রে করে উঠেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরব ছিলেন বিরোধী নেতৃত্ব। কিন্তু, কর্ণপাত করেনি নবান্ন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভোটের মুখে অপসারিত রাজীব কুমার। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ, ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না এই পোড়খাওয়া আইপিএস। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকরের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন। পুলিশ মহলে দুঁদে কর্তা নামেই পরিচিত আইপিএস মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ রাজীব কুমার। তবে বিতর্কিত। কেন বার বার তাঁর নাম জড়িয়ে পড়েছে বিতর্কে, জানুন…
Advertisment
- ২০১৩ সালে সারদা অর্থ লগ্নি সংস্থার মামলায় তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের রোজকার কাজ দেখার দায়িত্বে ছিলেন বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। জানা যায়, সেই সময় উদ্ধারকাজে সারদা সংক্রান্ত সুদীপ্ত সেনের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। হাতে আসে লাল ডায়েরি এবং পেনড্রাইভ, যা সারদা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ, সারদা কর্তার সেই লাল ডায়েরি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে পৌঁছায়নি।
- সারদা মামলাতেই কমিশনার রাজীব কুমার তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করেছিলেন।
- পাল্টা কুণালও নিশানা করেন রাজীব কুমারকে। তাঁর অভিযোগ, সারদার সবচেয়ে বড় নথি লাল ডায়েরি, পেন ড্রাইভ লোপাট করেছেন বিধাননগরের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার।
- ২০১৯ সালে সেই সারদা মামলাতেই রাজীবকে অভিযুক্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে সারদা মামলার তথ্য লোপাটের অভিযোগ ওঠে।
- সেই সময় কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিনও নিতে হয়েছিল রাজীব কুমারকে।
- ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তাঁর বাসভবনে গিয়েছিল সিবিআই।
- প্রতিবাদে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্না দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার বদলে কেন একজন অভিযুক্ত আইপিএস-কে বাঁচাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে প্রস্ন ওঠে। পাল্টা মোদী সরকারের বিকুদ্ধে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা'র অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- সিবিআই দাবি করেছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা-সহ সমস্ত অর্থ লগ্নি সংস্থার টাকা ও সুবিধা কারা ভোগ করেছিলেন সে বিষয়ে তদন্ত করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজীব কুমার কোনও সহযোগিতা করেননি।
- এরপর ২০২৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে শিলং-য়ে রাজীব কুমারকে জেরা করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। পরে সেখানেই কুণাল ঘোষকেও রাজীবের মুখোমুখি বসিয়ে চলে জেরা। এসবের পরে আইপিএস রাজীব কুমারকে তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের সচিব করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন একজন আইপিএস সিভিল সার্ভিস পদের চাকরি করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি রাজীব কুমারকে ডিজি পদে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
- সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্দেশখালির ঘটনাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর সেখানে গিয়েছিলেন ডিজি রাজীব কুমার। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলেও দ্রুত শেখ শাহজাহানকে ধরা যায়নি। পরে হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
আরও পড়ুন- Rajeev kumar: MCC কার্যকর হতেই প্রথম পদক্ষেপ কমিশনের, অপসারিত মমতা ঘনিষ্ঠ IPS রাজীব কুমার