Koi Fish: জল থইথই রাস্তায় ছুটে বেড়াচ্ছিল অজস্র কৈ মাছ । তা দেখে সাগর নেমে পড়ে কৈ মাছ ধরতে। একের পর এক কৈ মাছ ধরার পর সেগুলি রাখার জায়গা না পেয়ে একটা কৈ মাছ নিজের মুখে ভরে আটকে রাখে সাগর। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়। মুখে থাকা কৈ মাছ আচমকা গলায় আটকে যাওয়ায় বেঘোরে প্রাণ খোয়াতে হল যুবক সাগর রায় কে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় স্তম্ভিত পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা ।
যুবক সাগর রায় এর আদি বাড়ি হুগলী জেলার পাণ্ডুয়া থানার সিমলাগড়ের গ্রাম গোয়াল গ্রামে। বেশ কিছুদিন হল তিনি জামালপুর থানার জৌগ্রামের নুড়ি এলাকার পুলিশ ক্যাম্পের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তিনি হাওড়ার লিলুয়ার একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানান। তাঁর জীবনে বড় অঘটন নেমে আসে বৃহস্পতিবার রাতে ।
আত্মীয় ধলা রায় জানিয়েছেন, স্ত্রীকে বর্ধমানে ডাক্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বর্ধমানে ডাক্তার দেখিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাগর। রাত ৮ টা নাগাদ তাঁরা জৌগ্রাম স্টেশনে ট্রেন থেকে নামেন ।তারা পর স্বামী ও স্ত্রী দুজনে হেঁটে নুড়ি গ্রামে ফিরছিলেন। আত্মীয় ধলা রায়ের কথা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হয় । তার কারণে জল থই থই হয়ে পড়ে জৌগ্রামের বিভিন্ন এলাকা । পুকুর , ডোবার কৈ মাছ রাস্তায় উঠে পড়ে । তা দেখে সাগর কৈ মাছ ধরতে নেমে পড়ে । সাগর প্রথমে দু হাতে দুটি কৈ মাছ ধরে। পরে রাস্তায় আরো কৈ মাছ দেখতে পেয়ে সাগর সেই গুলিশ ধরতে উদ্যত হয় ।
আরও পড়ুন - < Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে নাস্তানাবুদ, জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন, জারি প্রতীকী প্রতিবাদ >
তবে ধরা কৈ মাছ গুলি রাখার জায়গা না পেয়ে সাগর একটি কৈ মাছ মুখে ভরে আটকে রেখে অন্য কৈ মাছ ধরতে যায় । ওই সময় অসাবধানতায় মেখে থাকা কৈ মাছটি সাগরের গলায় চলে যেতেই তাঁর প্রবল শ্বাস কষ্ট শুরু করে । তড়ি ঘড়ি তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয় নি। চিকিৎসক বছর ৩৫ বয়সী সাগর রায়কে মৃত ঘোষণা করেন ।
এদিকে কৈ মাছের কবলে পড়ে যুবক সাগর রায়ের এভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনার কথা জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান জৌগ্রামের বাসিন্দারা । বাঁধ ভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন সাগরের স্ত্রী ও পরিজনরা । শুক্রবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে সাগরের রায়ের মৃত দেহের ময়নাতদন্ত হয় । এদিন বিকালে তাঁর নিথর দেহ ফেরে বাড়িতে ।