১৮ হাতের লক্ষ্মী প্রতিমার ধুমধাম করে পুজো হয় মালদার বামনগোলায়। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে প্রাচীন নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে ১৮ হাত বিশিষ্ট দেবী লক্ষ্মী পূজিত হয়ে আসছেন বামনগোলা ব্লকের গাঙ্গুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে। রবিবার সকাল থেকেই ওই আশ্রমে দেবী মূর্তিতে সাজানোর ছিল তোড়জোড় ভক্তদের মধ্যে।
Advertisment
এদিন সকালে মহালক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী।
সংশ্লিষ্ট আশ্রমের স্বামী গ্রীয়াকানন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে দেবী এখানে, সকালে এক রূপে ও রাতে একরূপে পুজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে।
এদিন কোজাগরী পূর্ণিমা। এই পূর্ণিমার তিথিতে দেবীর সকালে মহালক্ষ্মী রূপে পূজিতা হয়েছে। রাতে কোজাগরের রক্ষী রূপে তিনি পূজিত হবেন। এই পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদহের বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমেই হয়ে থাকে।
আশ্রম কর্তাদের বক্তব্য, দেবী এখানে লক্ষ্মী, মা দুর্গা, চণ্ডীরূপী-সহ বিভিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে থাকেন। তাই কাল্পনিক চিন্তাধারায় দেবীকে এখানে ১৮ হাত বিশিষ্ট হিসাবে পুজো করা হয়। লক্ষ্মীপুজোর পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।