Advertisment

এলো না উবের, পণ্ড পরিবহণ দপ্তর-অ্যাপ ক্যাব বৈঠক

উবের কর্তৃপক্ষ বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার বৈঠক ভেস্তে যায়। ক্যাব চালকরা জানিয়েছেন, আগামী ১০ জানুয়ারির বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে লাগাতার আন্দোলনের রাস্তা নেবেন তাঁরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
cab taxi

পরিবহণ দপ্তরের উদ্য়োগে ক্য়াবের সমস্য়া সমাধানের বৈঠক ভেস্তে গেল।

জট কাটল না অ্যাপ ক্যাবের। ওলা-উবের সমস্যা নিয়ে কসবা অফিসে বৈঠক ডেকেছিল পরিবহণ দপ্তর। কিন্তু উবের কর্তৃপক্ষ বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার বৈঠক ভেস্তে যায়। আগামী ১০ জানুয়ারি ফের বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। ক্যাব চালকরা জানিয়েছেন, ওই দিনের বৈঠকে কোনও কার্যকরী সিদ্ধান্ত না হলে লাগাতার আন্দোলনের পথে যাবেন তাঁরা। মালিকদের একাংশও যোগ দেবেন ওই আন্দোলনে। গত তিনদিন ধরেই ক্যাব চালকদের একাংশ শহরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিন বৈঠকের পর রাস্তায় চলন্ত ক্যাব থেকে যাত্রীদের নামিয়ে হয়রানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। কসবা থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisment

এদিন কসবায় পরিবহণ দপ্তরে ক্যাবের চালক-মালিকদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক ছিল। পরিবহণমন্ত্রীর নির্দেশে এই বৈঠকে ক্যাবের চালক ও মালিকরা হাজির ছিলেন, ছিলেন ওলা কর্তৃপক্ষও। কিন্তু উবেরের কোনও প্রতিনিধি বৈঠকে হাজির ছিলেন না। স্বভাবতই বৈঠক ভেস্তে যায়। ফের বৈঠকের দিন স্থির হয় ১০ জানুয়ারি। রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের বিশেষ সচিব বিশ্বজিত দত্ত বলেন, উবের কর্তৃপক্ষ না আসায় এদিন বৈঠক হয়নি। আগামী ১০ জানুয়ারি উবের কর্তৃপক্ষকে আসতে বলা হয়েছে। সেদিন ক্যাবের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা হবে।

আরও পড়ুন: ফের বিপত্তি! মেট্রোয় আগুন-আতঙ্ক

বৈঠক নিষ্ফল হতেই রুবির মোড়ে ক্যাবের মালিক ও চালকদের একাংশ রাস্তায় চলাচলকারী ক্যাবের যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বাইপাসে তখন ধুন্ধুমার অবস্থা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে রাস্তায় যানজট শুরু হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কসবা থানার ওসি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ক্যাব চালকদের অভিযোগ, নানা সময়ে অন্যায়ভাবে তাঁদের আইডি বাতিল করে দেন কর্তৃপক্ষ, যাত্রীদের একাংশ দুর্ব্যবহার শুধু নয়, মারধরও করেন, কিন্তু তাঁরা নিরুপায়। এমনকী কর্তৃপক্ষ বাড়তি রোজগার করলেও তাঁরা কোনও ভাগ পান না। গাড়ির মালিকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ক্যাব চালক নাসির আহমেদের দাবি, "আমরা রাত-বিরেতে গাড়ি চালাই। আমাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। যাত্রীদের কোনও প্রমাণপত্র আমাদের কাছে থাকে না। তাঁরা মারধর করে চলে গেলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাধারণ যাত্রীরাও কোম্পানির নানা খামখেয়ালির ফলে সমস্যায় পড়েন। এর আগেও বহুবার বৈঠক হয়েছে। কোনও সমাধান মেলে নি।"

kolkata public transport uber
Advertisment